
আমাদের অনেকেরই স্বভাব হয়েছে নিজের ধর্মকে সম্মান করবো কিন্তু অপরের ধর্মকে তীব্র অসম্মান করবো। মুখে আমরা যতই সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলব কেন কাজে আদতে আমরা ঠিক এর উল্টোটা ঘটাবো। এবার ঠিক এরকমটাই করলেন বাংলার বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা এবং রেডিও সঞ্চালক মীর আফসার আলী। সম্প্রতি মীরের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে চরম বিতর্ক উঠেছে।
এর আগে দুর্গাষ্টমীতে তিনি একটি ছবি দিয়ে মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন। সেখানে ভুলভুলাইয়া সিনেমার মঞ্জুলিকা তথা বিদ্যা বালানের একটি ভয়ঙ্কর ছবি দিয়ে তিনি বাঙালি হিন্দুদের অষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান! সেই পোস্ট নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়। ষষ্ঠী-সপ্তমী-নবমী দশমীর শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েও নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সম্প্রতি নবী দিবসে মীর যথেষ্ট ধার্মিক ভাবে শুভেচ্ছা জানান নিজের ফেসবুক পোস্টে। সেই পোস্ট অত্যন্ত সাধারণ, সেখানে কোন হাস্যকর মেটেরিয়াল নেই।
এখানেই বেঁধেছে গন্ডগোল। প্রশ্ন উঠছে মীর নিজের ধর্মকে সাধারণভাবে দেখাতে পারেন কিন্তু হিন্দু ধর্মকে মানুষের কাছে হাস্যকর ভাবে কেন রিপ্রেজেন্ট করছেন? অনেকেই তার শো মীরাক্কেলকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন এর প্রতিবাদে। এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার পোস্ট করে লিখেছেন, “এক মীর কিন্তু দুই ধর্মীয় উৎসবে দুই ধরনের শুভেচ্ছা। একটাই সিরিয়াস আরেকটায় খিল্লির পর খিল্লি। এর পরেও কিছু লোক এর অনুষ্ঠান দেখবে, শুনবে। তাদের লজ্জা করবে না।” আরেকজন আবার বলছেন যে, এরপরও মীরকে হাতে বাটি না ধরানোর কারণটা দিয়ে যান।
কিছু জন বলছেন যে, বিদ্যা বালানের জায়গায় যদি মীর মা দুর্গার ফটো পোস্ট করতেন তাহলেও তিনি সমানভাবে লাইক এবং কমেন্ট পেতেন। মীরের জনপ্রিয়তায় এতে কিন্তু বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়তো না। স্বাভাবিক ভাবেই নিজের ধর্মের বেলায় সম্মান এবং অন্য ধর্মের বেলায় খিল্লি এই জিনিসটাকে বেশিরভাগ মানুষই সহজভাবে মেনে নিচ্ছেন না।