১৮’র স্মৃতি উস্কে ফের রাজ্যে মাথাচাড়া দিল ভাগাড়ের মাংস! চুঁচুড়া থেকে গ্রেফতার ব্যবসায়ী
সাল ২০১৮তে ভাগাড় কাণ্ডে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় ধরপাকড়, হোটেল বন্ধ করে দেওয়া একদিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। সেই ঘটনার আজ তিন বছর পার। রাজ্য সহ দেশের মানুষের এখন একটাই লক্ষ্য হারাতে হবে করোনাকে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ভাগাড়ের পচা মাংসের কারবার। মুরগির মাংস, পাঁঠার মাংসর বদলে অন্যান্য জীব জন্তুর মাংস চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল সেই সময়। এবার ফের সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিয়ে হুগলির চুঁচুড়ার একটি ঘটনা। এখানে পচা মাংসের কারবার চালানোর অভিযোগ উঠছে এক মাংস ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:‘ফিরে যাও বিজয়বর্গীয়’, বিজেপি শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ কলকাতা!
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ পাওয়া গেছে?
চন্দননগর কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এক কেজি, দু কেজি নয়, ওই ব্যক্তির বাড়ির ফ্রিজ থেকে প্রায় ৫৬ কেজি মুরগির পচা মাংস পাওয়া গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কী এত কেজি মাংস বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করার জন্য মজুত করা হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে হুগলির সদর শহর চুঁচুড়া থেকে ধৃত ব্যবসায়ীর নাম বিমলেন্দু দাস। এলাকার খড়ুয়া বাজারে তাঁর দোকান রয়েছে। এলাকায় বেশ পরিচিতি আছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ লাইন, সংশোধনাগার, মেস সহ শহরের বিভিন্ন হোটেলে তিনি মাংস সরবরাহের বরাত পেতেন।
আরও পড়ুন:হাইকোর্টে পিছলো মমতা-শুভেন্দুর নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি! বিক্ষোভ শুরু বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্টের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ফুড ইনসপেক্টরাও। এদিকে পুলিশের দাবি, ওই বাড়ির ফ্রিজার থেকে ৫৬ কেজি মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বাজেয়াপ্ত মাংস সম্পূর্ণরূপে পচা বলে নিশ্চিত করেন ফুড ইনসপেক্টররা। এরপরই ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। উদ্ধার হওয়া মাংস ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তবে বাড়ির ফ্রিজারে পচা মাংস রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার।
ব্যাবসায়ীর দাবি, ‘ফ্রিজারে জামাইষষ্ঠীর জন্য মাংস রাখা ছিল। আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। এখনও বাড়ির ফ্রিজে ২৫ কেজি মাংস রয়েছে। ফুড ইনসপেক্টর কোনও পরীক্ষা না করেই ডেস্ট্রয়েড বলে স্ট্যাম্প দিয়ে দেন। কুকুরের জন্য রাখা মাংস ও অন্য মাংস মিলিয়ে দেন। বার বার বলা হলেও কথা শোনা হয়নি।’