লোকসভা ভোটের ফলাফলে সবুজ দূর্গে আঘাত হেনেছে গেরুয়া শিবিরে। ৪২ এ ৪২ তো হয়-ই-নি উল্টে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২২ এ। শাসকদলের এহেন খারাপ ফলাফল নিয়ে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ভরা বৈঠকে বকুনি খেতে হলো অনেককেই, যাদের মধ্যে রয়েছেন ৪২ এ ৪২ আসন পাওয়ার দাবী জানানো অনুব্রত মন্ডলও।
ভোটপর ফলাফলে কেনো এই খারাপ পরিস্থিতি তৃণমূলের তা নিয়ে আলোচনার জন্য আজ দলের নেতা-নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর বকুনি খান অনেকে এমনকি অনেককে পেতে হয় শাস্তিও।
একদা অনুব্রত মন্ডলের সাংগঠনিক সাফল্যে খুশি হয়ে তাকে বীরভূম জেলার বাইরে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়ার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। এমনকি পরবর্তীতে তাকে বিষ্ণুপুরেরও পর্যবেক্ষক করা হয়। কিন্তু এরপরই লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর অনুব্রত মন্ডলের ওপর গিয়ে রোষ পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিনের বৈঠকে অনুব্রত মন্ডলকে কড়া বকুনি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিকট কৈফিয়ত চান তাঁর পরাজয়ের। কেনো তিনি এতোগুলো জায়গায় পরাজিত হলেন তা নিয়েও প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শাস্তি স্বরূপ অনুব্রত মন্ডলকে তিনি সরিয়ে দেন নদীয়ার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে। শুধু অনুব্রতই নন। এদিনের বৈঠকে বকুনি খান উত্তরবঙ্গের গৌতম দেব এবং অরূপ বিশ্বাসও। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের কেনো ভরাডুবি হলো তার কৈফিয়ত এদিন চাইলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।