সত্যি হল শুভেন্দুর ভবিষ্যৎবাণী! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলাতে ক্রশ ভোটিং, তৃণমূলের ভোট কী গেল বিজেপিতে?

গতকাল, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (President Election) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিরোধী জোটে পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha) বিপুল ভোটে হারিয়ে দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হয়েছেন এনডিএ-র পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। বিজেপির (BJP) শিবিরে এখন খুশির হাওয়া। এরই মধ্যে নানান রাজ্যেই ক্রশ ভোটিং (cross voting) নিয়ে নানান প্রসঙ্গ উঠেছে।
অসমের পর এবার বাংলা থেকেও ক্রশ ভোটিংয়ের বিষয়টি সামনে আসছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বাংলার বিধানসভা থেকে দ্রৌপদী মুর্মুর জন্য ভোট পড়েছে ৭১টি। কিন্তু বিজেপির বিধায়কদের ৭০ জন ভোট দিয়েছেন। এদিকে আবার তৃণমূলের ২২১ জনের মধ্যে ভোট পড়েছে ২১৬টি। চারজন বিধায়কের ভোট বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির যদি ৭০ জন বিধায়ক ভোট দেন তাহলে দ্রৌপদী মুর্মুর ঘরে ৭১টি ভোট যায় কীভাবে?
এই একটি ভোট বেশি গেল কীভাবে বিজেপির দিকে? কে দিলেন এই ভোট? এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী তৃণমূলের থেকেও বিজেপির দিকে কোনও ভোট গিয়েছে? অবশ্যই গিয়েছে, অন্তত অঙ্ক তো তেমনই বলছে। কিন্তু সেই ভোটটা দিলেন কে? যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই এই ক্রশ ভোটিংয়ের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই অঙ্কই অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।
এই ক্রশ ভোটিংয়ের কথা জানতে পেরে বিজেপির অন্দরের হাওয়া কিন্তু বেশ ফুরফুরে। অন্যদিকে তৃণমূল শিবিরে নতুন করে অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে এই নিয়ে। তবে কী দলে থেকেও কোনও বিধায়ক অন্য শিবিরের হয়ে ভোট দিয়েছেন? সেই বিধায়ককে আদৌ কী চিহ্নিত করা সম্ভব হবে, এখন সেই প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, এনডিএ প্রার্থী ৭০-এর উপর ভোট পাবেন। আমার কথা আপনারা মিলিয়ে নেবেন। তৃণমূল টার্গেটের ভোট ধরে রাখতে পারবেন না। তাঁদের ভোট বাতিল হবে বা অন্য কোথাও গিয়ে পড়বে”।