করোনা কালে মৃত্যুজাল বুনতে পারে আতসবাজি, কালীপুজোয় আতসবাজি নিষিদ্ধ করার পরামর্শ চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের

সামনেই কালীপুজো, মানুষ মেতে উঠবে আতসবাজি ফাটানোর প্রতিযোগিতায়। গত কয়েকবছরে শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা গেলেও বাধ মানে না আতসবাজি। কিন্তু এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে এই আতসবাজিই ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ।
করোনা প্রধানত মানুষের শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করে। এর উপর বাজির ধোঁয়ায় বাতাসে দূষণ বাড়লে তা প্রাণঘাতী হবে মানুষের জন্য। সরকার ও মানুষকে এই নিয়ে বারবার সতর্ক করছে চিকিৎসক মহল। এই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ আর্জি জানিয়েছেন যে কালীপুজো ও দীপাবলিতে আতসবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হোক। এই পরিস্থিতিতে বায়ু দূষণ আটকাতে না পারলে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে এবং পরিস্থিতিও হাতের বাইরে চলে যাবে।
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মস অফ ডক্টরস’। একই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ও বিজ্ঞান সংগঠনের। আসন্ন কালীপুজো বা দীপাবলিতে আতসবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না করতে পারলে করোনায় মৃত্যু কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজ্যের একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। আতসবাজি নিষিদ্ধের দাবীতে সোমবারই আদালতের দ্বারস্থ হবেন আইনজীবীদের একাংশ।
প্রতি বছরই বায়ুদূষণের জেরে প্রাণ হারান লক্ষ লক্ষ মানুষ। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে দূষণের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কালীপুজোর সময় আতসবাজির ফলে বাতাসে দূষণ মাত্রা বৃদ্ধি পায়, এই বছর আবার দোসর করোনা। তার দৌলতে এমনিতেই গোটা দেশ সন্ত্রস্ত। এই পরিস্থিতিতে আতসবাজি ফাটিয়ে আনন্দ করতে গেলে তা অবশেষে নিরানন্দতেই পরিণত হবে।
করোনায় এ পর্যন্ত দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ১,১৯৩,৯০৯। এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আতসবাজি, পটকা নিষিদ্ধ করতে উদ্ধত চিকিৎসক মহল। চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের আর্জি শোনার পর প্রশাসন কোন দিকে এগোবে, এখন তাই-ই দেখার। সরকারের উপরেই নির্ভর করছে মানুষের জীবন। দেখা যাক, মানবকল্যাণের দায়ে এই বছর আতসবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কী না সরকার।