রাজ্য

অভিষেকই দলের নেতাদের ফাঁসিয়েছে, নারদ কাণ্ডে শুভেন্দুর মন্তব্যকে সমর্থন করলেন ফিরহাদ, তুমুল অস্বস্তিতে তৃণমূল

রাজ্যে একের পর এক নানান দুর্নীতির (corruption) ঘটনা সামনে আসছে। নানান দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতাদের। এর জেরে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তৃণমূল। এরই মধ্যে ফের একবার নতুন করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি ও গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের দুই হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়াও, আরও নানান দুর্নীতিতেও তৃণমূলের নানান নেতা-মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। এরই মধ্যে নারদ মামলায় ফের ফিরহাদ হাকিমকে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই।

রাজ্যের নানান দুর্নীতি ও নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “এবার হাকিম সাহেবের পালা”। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিম সেভাবে কিছু না বললেও নারদ মামলা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছিলেন সেই মন্তব্যকে কার্যত সমর্থন করেছিলেন ফিরহাদ।

ফিরহাদ বলেন, “আমার একটা কেস ছিল। সেইজন্য আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম। আমি হাসপাতালে থাকিনি আমি জেলে ছিলাম। কারণ আদালত বলেছিল আমাকে জেলে থাকতে তাই জেলে ছিলাম। কিন্তু সেই কেসের ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা বলে দিয়েছে”।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেককে আক্রমণ করে বলেন, “দলে থাকার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চরম শত্রু ছিলাম আমি। ও মনে করত ওর রাজনীতিতে উত্থানের নেপথ্যে বাধা ছিলাম আমি। আর সে কারণেই ম্যাথু স্যামুয়েলকে দিয়ে কে ডি সিংকে আমদানি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্টিং অপারেশন করে আমাকে সহ দলের নেতাদের ফাঁসিয়েছিল”।

এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্দরে বেশ অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফিরহাদ শুভেন্দুর মন্তব্যকে সমর্থন করায় দলের একাংশ ক্ষুব্ধ তাঁর উপর। আর এই ঘটনায় অভিষেকের নাম এসে পড়ায়, তা যে তৃণমূলের জন্য নেতিবাচক প্রভাব টেনে আনবে, তা বলাই বাহুল্য।

Back to top button
%d bloggers like this: