রাজ্য

‘বিচারব্যবস্থার জয় হল, রাহুলের খবরে খুব খুশি’, মোদী পদবি নিয়ে মানহানির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মেলায় রাহুলকে অভিনন্দন মমতার

মোদী পদবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। সুরাট আদালত তাঁকে যে সাজার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই ব্যস্ততা পড়ে গিয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। রাহুলের সাংসদ পদ যাতে তাঁকে ফের ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেই আবেদন জানাতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে ছোটেন অধীর চৌধুরী। এদিকে, রাহুলের এই সুপ্রিম স্বস্তিতে বেশ খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই টুইট করলেন তিনি।

কী লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

মমতার কথায়, “রাহুলের সাংসদ পদ নিয়ে খবরে আমি খুশি। মাতৃভূমির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে জয়ী হতে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্কল্প আরও মজবুত হল”।

মমতা আশা রাখছেন, আদালতে রাহুল গান্ধীর এই জয়ের ফলে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট আরও শক্তিশালী হবে এবং এককাট্টা হয়ে দেশের জন্য লড়বে। আগামী লোকসভা ভোটে মমতা-সনিয়ারা একসঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে। ২৬টি বিজেপি-বিরোধী দল মিলে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া জোট। তাতে অন্যতম প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা। আর এমন অবস্থায় রাহুল গান্ধীর ‘সুপ্রিম’ স্বস্তি ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে আরও বেশি মজুবত করবে বলেই মনে করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

কী অভিযোগ ছিল রাহুলের বিরুদ্ধে?

২০১৯ সালে কর্নাটকের কোলারের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (কটাক্ষ করে রাহুল বলেছিলেন, “দুর্ভাগ্যজনক যে দেশের বড় বড় চোরেদের পদবি মোদী”। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ গোটা মোদী সমাজকেই অপমান করেছেন বলে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলা করেন মামলাকারী পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাতের সুরাট আদালত। পরদিনই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করে লোকসভার সেক্রেটারিয়েট। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। সেই মামলাতেই আজ, শুক্রবার স্বস্তি পেলেন তিনি।

রাহুলের বিরুদ্ধে গত ২৪ মার্চ সাজা শুনিয়েছিল সুরাটের আদালত। তার পর থেকে চার মাস কেটে গিয়েছে। এর মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল এখন ‘মোদীকে হঠানোর’ লড়াইয়ে অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। দুই দলই ইন্ডিয়া জোটের শরিক। এবং সেই জোটকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নির্দ্বিধায় বলেছেন, “আওয়ার ফেভারিট রাহুল”।

কী বললেন কুণাল ঘোষ?

রাহুলের এই সুপ্রিম স্বস্তির বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিচার ব্যবস্থার একটা প্রক্রিয়া রয়েছে। নিম্ন আদালতের রায়কে উচ্চ আদালতে বা সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাহুল গান্ধী স্বস্তি পেয়েছেন। এবার আমরাও চাইব যে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা সেই তৎপরতার সঙ্গেই যেন তা ফিরিয়ে দেন”।

Back to top button
%d bloggers like this: