অফবিট

স্বল্পবসনা ভয়ঙ্করী! উন্মুক্ত পোশাকে যুবককে রূপের জালে ফাঁসিয়ে হীরে বসানো ঘড়ি, গয়না নিয়ে উধাও যুবতী, লাস্যময়ীর খোঁজে পুলিশ

পরনে মিনি স্কার্ট। টপের উপর থেকে উন্মুক্ত ব’ক্ষবি’ভা’জি’কা। হাতে তাঁর দামী মোবাইল। অর্থাৎ একবার তাঁর দিকে চোখ পড়লে চোখ ফেরানো দায়। কিন্তু এই লাস্যময়ীই কখন যে আপনাকে রূপে জালে ফাঁসিয়ে আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না আপনি। এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন ওই লাস্যময়ী। আর তাঁকে এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ মে মায়ামিতে। ওই লাস্যময়ী যুবতীর বিরুদ্ধে এক যুবকের বেশ কিছু দামী গয়না, জিনিসপত্র এবং হিরে বসানো হাতঘড়ি চুরির অভিযোগ উঠেছে। এমন কাণ্ড কীভাবে ঘটালেন তিনি?

একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একটি ক্লাবে ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। গোটা রাত সেখানেই একসঙ্গে সময় কাটান তাঁরা। এরপর ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই যুবতীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে যান যুবক। যুবকের কথায়, বাড়িতে বসে দু’জন পানীয়তে চুমুকও দেন। এরপরই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। আর তাঁর ঘুম ভাঙে একেবারে দুপুরে।

ঘুম ভাঙতেই কার্যত মাথায় বজ্রাঘাত হয় যুবকের। দেখেন তাঁর আলমারি হাট করে খোলা। আর সেখান থেকে নানান মূল্যবান জিনিসপত্র ‘ভ্যানিশ’। ওই জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল সোনার চেন, গোল্ড ব্রেসলেট, সোনার আংটি, ব্র্যান্ডেড সানগ্লাস ও নানান কিছু। এর মধ্যে সবথেকে দামি জিনিস ছিল হীরে বসানো রোলেক্সের ঘড়ি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। তাতে ওই যুবকের আবাসনের লিফটে থাকা সিসি ক্যামেরাতে ওই যুবতীর রূপ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, যুবতীর উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি মতো। তাঁর হাতে একটি গ্লাস ছিল। পুলিশের সন্দেহ, ওই গ্লাসের পানীয়ই যুবকের বাড়িতে পান করেছিলেন তিনি। যাতে সেটার থেকে ডিএনএ নমুনা না পেতে পারে পুলিশ, সেই কারণে বুদ্ধি করে গ্লাসটি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।

বেশ ঠাণ্ডা মাথায় বুদ্ধি করেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই যুবতী। এটাই তাঁর প্রথম কাজ হয়ত নয়, এমনটাই ধারণা পুলিশের। তবে তাঁর খোঁজ চলছে। কেউ যদি ওই যুবতীকে কোথাও দেখেন, তাহলে থানায় সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: