জ্যোতিষশাস্ত্র

পবিত্র শ্রাবণ মাসে ঘরে নিয়ে আসুন এই ৬টি জিনিস, মহাদেবের আশীর্বাদে জীবনে কখনও অর্থ, সুখ-শান্তির অভাব ঘটবে না

শ্রাবণ মাস যে কোনও শিব ভক্তদের জন্য অত্যন্ত শুভ। ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে এই সময় অনেকেই নানান পূজা, উপবাস করে থাকেন। বিশ্বাস করা হয়, এই পবিত্র শ্রাবণ মাসে মহাদেব নাকি সকল ভক্তের মনস্কামনা পূরণ করেন। শাস্ত্রে বলেছে, এই পবিত্র শ্রাবণ মাসে যদি কিছু জিনিস ঘরে আনা যায়, তাহলে তা খুবই শুভ।

কী এই জিনিসগুলি, আসুন দেখে নিই-

রুদ্রাক্ষ
রুদ্রাক্ষ নিজেই স্বয়ং শিবের অংশ বলে মনে করা হয়। শ্রাবণের শুভ সময়ে এটি বাড়িতে নিয়ে আসা ব্যক্তির উন্নতির পথ আরও প্রশস্ত করে। এছাড়াও শ্রাবণে রুদ্রাক্ষের মালা পরলে সকল রোগ নাশ হয়। ঘরে রুদ্রাক্ষ রাখলে ইতিবাচকতা আসে।

ত্রিশূল

ত্রিদেবতা ও তিন জগতের প্রতীক বলে মনে করা হয় ত্রিশূলকে। এই ত্রিশূল ঘরে থাকলে কোনও দুর্যোগের ভয় থাকে না। শিবের ত্রিশূল অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে পরিবারকে সুরক্ষিত রাখে।

গঙ্গাজল
শ্রাবণের শুরু হয় মহাদেবের যে কোনও মন্দিরে তীর্থ যাত্রা করা ভালো তা তারকেশ্বর হোক বা চন্দনেশ্বর। মহাদেবকে খুশি করার জন্য ভক্তরা দীর্ঘ যাত্রা করে এবং কঠোর নিয়ম মেনে নদী থেকে গঙ্গাজল এনে শিবলিঙ্গে ঢালেন। কথিত আছে যে এতে মহাদেব অত্যন্ত প্রসন্ন হন এবং ভক্তের প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ হয়। এমন পরিস্থিতিতে শ্রাবণর প্রথম দিন বা কোনও সোমবার বাড়িতে গঙ্গাজল আনলে রান্নাঘরে রাখুন। এর ফলে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও ধনসম্পদের কোনও কমতি হবে না।

ভস্ম

কথিত রয়েছে, শিবের মহাস্নানের ভস্ম যদি ঘরে রাখা হয়, তাহলে কখনও দারিদ্র্যতা আসে না। শ্রাবণ মাসে কোনও শিব মন্দির থেকে শিবের ভস্ম এনে একটি রুপোর বাক্সে রাখুন। গোটা মাস তা শিব পুজোয় কাজে লাগান। এরপর এটি কোনও নিরাপদ স্থান বা টাকা রাখার স্থানে রেখে দিন। এর ফলে সম্পদ বৃদ্ধি হবে আপনার।

ডমরু

বাড়িতে ডমরু থাকা মহাদেবের সঙ্গে সাক্ষাতের সমতুল্য। ডমরুর শব্দে এতটাই শক্তি রয়েছে যে তা ঘরের পরিবেশকে চাপমুক্ত করে। শ্রাবণ মাসে প্রতিদিন ডমরু বাজিয়ে শিবের স্তব করুন।

রুপোর ব্রেসলেট

শাস্ত্রে বলা রয়েছে, মহাদেব তাঁর পায়ে চন্দের মালা পরেন। শ্রাবণ মাসে একটি রুপোর ব্রেসলেট কিনে তা হাতে বা পায়ে পরতে পারেন। শ্রাবণ মাসে এই কাজ করা অত্যন্ত শুভ। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এই ব্রেসলেট ধারণ করুন।

(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরোক্ত এই কথাগুলি যে সবকটিই সত্য হবে, এমন কোনও দাবী করছে না খবর ২৪x৭। উক্ত এই কথাগুলি নানান জ্যোতিষীদের কথা থেকে নেওয়া হয়েছে। )

Back to top button
%d bloggers like this: