২৬ জন নির্যাতিতাকে সকলের সামনে আনলেন সুদীপ্ত সেন, কোন সত্যি জানালেন তারা? ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে কী বললেন ছবির পরিচালক-প্রযোজক?

মুক্তির আগে থেকেই একাধিক বিতর্কের মুখে পড়েছিল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। তবে সমস্ত বাধা কাটিয়েও বক্স অফিসে রমরমিয়ে চলছে এই ছবি। অনেক তাবড় তাবড় বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমাকে টক্কর দিচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এর মাঝেই এবার গত বুধবার মুম্বইয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নির্মাতারা। এদিন এই সাংবাদিক সম্মেলনে ছবির নির্মাতারা সামনে আনলেন কেরালার সেই ২৬ জন মহিলাদের যাদের আইএসআইএস জঙ্গি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
এই ছবির প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। তাই দ্য কেরালা স্টোরিকে কোনওভাবেই প্রোপাগান্ডা ছবি বলা চলে না। সেই বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর জন্যই মূলত এই সাংবাদিক সন্মেলনের আয়োজন করা হয়। এদিনই এই সাংবাদিক সম্মেলনের কিছুক্ষণ আগেই টুইটারে এই ছবির অভিনেত্রী আদা শর্মা ও পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানান যে এবার ব্রিটেনে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
এই ছবি বড় পর্দায় মুক্তি পেতেই অভিযোগ তোলা হয় যে এই ছবি ইসলাম ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করছে। সেই সঙ্গে প্রোপাগান্ডা ফিল্মেরও তকমা দেওয়া হয়। এই ইস্যুতেই অনেক জায়গায় বাতিল করা হয় ছবির প্রদর্শন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবিকে রাজ্যে নিষিদ্ধ করেন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
এদিন এই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রযোজক বিপুল শাহ বলেন, “আমাদের ছবিকে প্রোপাগান্ডা ফিল্ম বলা হচ্ছে। কিন্তু, দর্শকই সেই অভিযোগের যোগ্য জবাব দিয়েছে। সব বিতর্ককে ছাপিয়ে একটাই কথা বলতে চাই আমাদের ছবি সমাজের সত্যকে সকলের সামনে তুলে ধরেছে। সিনেমা তৈরির মূল কারণই হল আমাদের সমাজে মেয়েদের রক্ষা করা”।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে দেখানো হয়েছে, কীভাবে কেরালার ৩২ হাজার মহিলাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করিয়ে তাদের ইরাক ও সিরিয়াতে পাচার করে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস-এ প্রশিক্ষণ দেওয়ানো হয়। এই প্রসঙ্গে ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন বলেন, “তিন জন মহিলার মাধ্যেমে ৩২ হাজার মহিলার ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে”। তবে সমস্ত হুমকি, নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের মাঝেও নিজের গতিতে চলছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ইতিমধ্যেই এই ছবি ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে।