হানিমুনে গিয়ে করিশ্মা কাপুরকে নিলামে তুলেছিলেন তাঁর স্বামী, বাধ্য করেছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে ‘শোয়ার’ জন্য

নব্বইয়ের দশকের বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে করিশ্মা কাপুরের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শককে। বর্তমানে সেভাবে আর অভিনয় করে না তিনিউ। ‘মেন্টালহুড’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে তাঁকে শেষ দেখা যায়।
এই ওয়েব সিরিজের প্রোমোশনেই অভিনেত্রী তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু কথা শেয়ার করেছিলেন। তাঁর জীবনেও একটি সময় ছিল যা খুব বেদনাদায়ক। সকলেরই অল্পবিস্তর জানা যে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে করিশ্মা কাপুরের বিয়ে প্রায় ঠিকই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরিবারের কোনও সমস্যার কারণে সেই বিয়ে ভেঙে যায়।
এরপর ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন করিশ্মা। কিন্তু সেই বিয়ে সুখকর হয়নি। দুটি সন্তানও হয় সঞ্জয় ও করিশ্মার। তবে ২০১৬ সালে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে করিশ্মা জানান যে সঞ্জয় কাপুর তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন।
আরও একটি অতি গোপন তথ্য প্রকাশ করেন করিশ্মা যা শুনলে সকলে অবাক হবেন। করিশ্মা বলেন, তিনি যখন সঞ্জয়ের সঙ্গে হানিমুনে যান, সেই সময় সঞ্জয় তাঁকে বাধ্য করেছিলেন তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে শোয়ার জন্য। করিশ্মা এই বিষয়ে বাধা দিতে গেলে, এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল অশান্তি।
শুধু তাই-ই নয়, করিশ্মা এও জানান যে তিনি যখন প্রথমবার গর্ভবতী হন সেই সময়ও তাঁকে অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। করিশ্মাকে বিয়ে করার পরও সঞ্জয় নিজের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। এও বলেন অভিনেত্রী যে তিনি গর্ভবতী থাকাকালীন তাঁর শাশুড়ি তাঁকে একটি ড্রেস দিয়েছিলেন পরার জন্য। কিন্তু করিশ্মা তা পরতে পারেননি। এই কারিনে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয় ও তাঁর গালে চড়ও মারা হয় বলে জানান করিশ্মা।
সঞ্জয় নাকি তাঁর ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন করিশ্মার উপর নজরদারি চালানোর জন্য। খুব অল্প কথাতেই রেগে যাওয়া থেকে মারধর, সবই চলত। শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে ২০১২ সালে দুই সন্তানকে নিয়ে মুম্বই ফিরে আসেন করিশ্মা। এরপর ২০১৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।