দেশ

কী চকচক করছে? খোঁড়াখুঁড়ি করতেই মন্দির থেকে বেরিয়ে এল গুপ্তধন, উদ্ধার শ’য়ে শ’য়ে মুঘল আমলের স্বর্ণমুদ্রা

মন্দির নির্মাণকার্যের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। এই খোঁড়াখুঁড়ির জেরে যে এমন অমূল্য রতন মিলবে, তা হয়ত কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি। মন্দিরে বেশ খানিকটা খুঁড়তেই দেখা গেল কী যেন একটা চকচক করছে। কৌতূহলী হয়ে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ আরও চলল।

আর এর ফলে মাটির নীচ থেকে যা বেরিয়ে এলো, তা দেখে শ্রমিক থেকে শুরু করে মন্দির কমিটির লোকজন, সকলের চক্ষু চড়কগাছ। দেখা গেল, একটা বা দুটো নয়, কমপক্ষে ৪০০টি সোনার মুদ্রা বেরিয়েছে মাটির তলা থেকে। সেই মুদ্রার উপর খোদাই করা রয়েছে আরবি ভাষা। প্রাথমিক পরীক্ষার পর অনুমান করা হচ্ছে, ওই স্বর্ণমুদ্রাগুলি মুঘল আমলের।

এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নানৌতা এলাকায়। পুলিশ সুপার সাগর জৈন এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, গত রবিবার রাতে হুসেনপুর গ্রামে সতীধাম মন্দিরের বাউন্ডারি প্রাচীর তোলার জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। সেই সময়ই ওই স্বর্ণমুদ্রাগুলির সন্ধান পান শ্রমিকরা। এক এক করে ৪০০টি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। মন্দির কমিটির লোকজনকে তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয়। তারা পুলিশকে এই বিষয়টি জানান।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই স্বর্ণমুদ্রাগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা।

সাগর জৈন জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে যে ওই মুদ্রাগুলি সোনার তৈরি। সেগুলির উপর আরবি ভাষা খোদাই করা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, মুঘল আমলে ওই মুদ্রাগুলি ব্যবহার করা হত।

ইতিমধ্যেই পুরাতত্ত্ব বিভাগে এই খবর গিয়েছে। সেখানকার আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করে দেখবেন। এরপরই জানা যাবে, ওই মুদ্রাগুলি আসলে কী দিয়ে তৈরি আর ঠিক কোন সময়ে এগুলি ব্যবহার হত।

Back to top button
%d bloggers like this: