দেশ

ভুলবেন হোয়াটসঅ্যাপ! টেক্কা দিতে আসছে কেন্দ্রের দুই স্বদেশি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, নাম ‘সন্দেশ’ ও ‘সংবাদ’

বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু ভারতবর্ষে বেশ চাপে রয়েছে এই অ্যাপটি। মূলত সমস্যা হচ্ছে এদের প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে।এই দেশের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আর যেখানেই হোক, ভারতে কোন‌ওভাবেই নতুন প্রাইভেসি পলিসি লাগু করা যাবে না। এই নিয়ে যখন মহা সমস্যায় রয়েছেে হোয়াটসঅ্যাপ, এর‌ই মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার এবার ভারতের বাজারে আনতে চলেছে স্বদেশী ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্ম। নাম? ‘সন্দেশ’ ও ‘সংবাদ’।

আপাত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্র জানিয়েছে, এই দেশীয় ‘সন্দেশ’ ও ‘সংবাদ’ অ্যাপ দুটি আপাতত বিটা টেস্টিং মোডে রয়েছে। তবে বিভিন্ন মহলে এর মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, কেন‌ও এই দুই অ্যাপের নাম ‘সন্দেশ’ ও ‘সংবাদ’ রাখা হয়েছে, যাদের আক্ষরিক অর্থ বার্তা এবং খবর। তাহলে কী এই অ্যাপ দুটি থেকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের খবরও শেয়ার করা হবে? এই প্রশ্নের এখনও অবধি কোনও উত্তর না মিললেও, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, সম্পূর্ণ ভাবে দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতেই তৈরি করা হচ্ছে এই স্বদেশি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ দুটি।

সূত্রের খবর, ‘সন্দেশ’ অ্যাপে এমন অনেক ফিচার্স দেওয়া হচ্ছে, যেগুলির হুবহু মিল থাকছে আমজনতার পরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ-এর সঙ্গে। সেই সব ফিচারের মধ্যে রয়েছে, গ্রুপ কনভার্সেশন, মেসেজ ব্রডকাস্টিং, অডিও এবং ভিডিয়ো কলিং-এর মতো একাধিক আকর্ষণীয় ফিচার্স।

ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছিল! এই পরিস্থিতিতে সরকারের চিন্তাভাবনা বহু দিন ধরেই ছিল, যাতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কোনও আলাদা অ্যাপ তৈরি করা যায়। কারণ, সরকারি কর্মচারীদের অনেক চ্যাটই গোপনীয় হয় এবং সেই দিকে নজর রেখে সরকারি কর্মচারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা, কিছুটা উদ্বেগের বিষয় তো বটেই। আর সেই মুহূর্তেই হোয়াটসঅ্যাপ নতুন প্রাইভেসি পলিসি লাগু করতে চালায় একই সঙ্গে ‘সন্দেশ’, ‘সংবাদ’ এবং GIMS অ্যাপ লঞ্চের পদ্ধতিতে গতি আনতে একপ্রকার বাধ্য হয় সরকার। যদিও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি, এই অ্যাপগুলি কবে লঞ্চ করবে।

Back to top button
%d bloggers like this: