অন্যান্য

বাবা টেম্পো ড্রাইভার, মা গ্রামের ক্ষেতমজুর, কষ্টেসৃষ্টে চলে দিন! পড়াশোনা করে এবার গ্রামের প্রথম ডাক্তার হতে চলেছে তাদের একমাত্র মেধাবী মেয়ে

জীবনে চলার পথে অনেক সমস্যা প্রতিকূলতা আসে। সেই সব প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারলে সাফল্য আসবেই। এসব কথা বোরো মুনি ঋষিরা বলে গেছেন। সেরকমই এক লড়াকু মেয়ে নাজিয়া। তার বাবা টেম্পো গাড়ির চালক, মা ক্ষেতমজুর। সে হতে চলেছে গ্রামের প্রথম মহিলা ডাক্তার।

রাজস্থানের এক প্রত্যন্ত গ্রাম ঝালাওয়ার জেলার পাচপাহাড় গ্রামের মেয়ে নাজিয়া। গত বছর সে ডাক্তারি পরীক্ষায় সারা রাজ্যের মধ্যে ৬৬৮ তম স্থান অর্জন করেন এবং দেশে ১৭৫৯ তম। সে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়। ছোটবেলা থেকেই সে ছিল খুব মেধাবী ছাত্রী। আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকলেও তাকে কেউ দমাতে পারেনি তার লক্ষ্য থেকে।

তার বাবা ইসামুদ্দিন পেশায় একজন টেম্পো চালক এবং মা আমিনা বিবি গ্রামে ক্ষেতমজুরের কাজ করেন। অত্যন্ত কষ্টে চলতো তাদের সংসার। কিন্তু তার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গেছে সে। এর আগে তিনবার ডাক্তারি পরীক্ষা দিলেও সফল হতে পারেনি সে। তবে অদম্য জেদ তাকে পিছু ছাড়েনি। গত বছর সে পরীক্ষায় পাশ করে। অনেকেই তার এই ডাক্তারি পড়াতে কটূক্তি করলেও বাবা-মা কখনও সেই কথায় কান দেননি।

ছোটবেলায় তার গ্রাম থেকে দূরে একটি স্কুলে পড়তে যেতো সে। তারপর উচ্চমাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করে স্কুল। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে সরকারি বৃত্তি পেয়েছে সে।

তারপর সেই টাকা দিয়ে ডাক্তারি পড়ার জন্য কোটার অ্যালেন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয় সে। তবে পরিবারে সেই প্রথম শিক্ষিত সদস্য হবে। মেয়ে গ্রামের প্রথম মহিলা ডাক্তার হবে শুনে গর্বিত তার বাবা-মা।

Back to top button
%d bloggers like this: