রাজ্য

গর্বের মুহূর্ত! গড়গড় করে বলে দিতে পারে ১০০টা রাজধানীর নাম, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল বাংলার ছোট্ট দীপান্বিতার

এখনও স্কুলের গেট পার করা হয়নি। আধো আধো কথা তার মুখে। কিন্তু তাও গড়গড় করে সে বলে দিতে পারে ১০০টা রাজধানীর নাম। আএ এর জেরে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের সাড়ে তিন বছরের দীপান্বিতা বর্মণের। সন্তানের এই সাফল্যে বেজায় খুশি দীপান্বিতার মা-বাবা।

বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কিসমত রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপান্বিতা। মা-বাবার সঙ্গে সুখী পরিবার। এবার পরিবারে আরও খুশির হাওয়া বয়ে আনল দীপান্বিতার এই প্রতিভা। সীমান্তবর্তী গ্রামে পড়াশোনার সেরকম সুযোগ নেই বলে জানান দীপান্বিতার বাবা। তবে পাড়ার ছোট্ট মেয়েটির এমন সাফল্যে বেশ খুশি গ্রামবাসীরা।

ছোট্ট দীপান্বিতা একটানা ৬৪টি দেশের রাজধানী, ২৮টি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী এবং ৮কি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজধানীর নাম বলে দিতে পারে। এই ১০০টি রাজধানীর নাম মাত্র ২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে বলতে পারে সে। আর তার এমন প্রতিভার জন্যই সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে দীপান্বিতার বাড়িতে সেই পুরস্কার এসে পৌঁছেছে।

দীপান্বিতার বাবা সুরজিৎ বর্মণ পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। তার মা মল্লিকা রায় বর্মণ গৃহবধূ। যখন দীপান্বিতার বছর দুই বয়স, সেই সময় থেকেই একাধিক রাজধানীর নাম ও ইতিহাসের নানান প্রশ্নের উত্তর বলে দিতে পারে সে। এই বিষয়টি নজরে আসে তার মা-বাবার। গ্রামের কোনও অনুষ্ঠানেও ডাক পড়ে দীপান্বিতার। অত লোকের সামনে অনর্গল রাজধানীর নাম ও ইতিহাসের বিবরণ বলে যায় সে।

দীপান্বিতার মা-বাবা জানতে পারে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের বিষয়টি। সেইমতো আবেদন করেছিলেন দীপান্বিতার বাবা। চলতি মাসের প্রথমে জানানো হয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পাচ্ছে দীপান্বিতা। অবশেষে গত ১৩ এপ্রিল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের সব পুরস্কার এসে পৌঁছেছে বাড়িতে।

মেয়ের এমন সাফল্যের বিষয়ে দীপান্বিতার মা মল্লিকা রায় বর্মন বলেন, “ছোট থেকেই মেয়ে একাধিক দেশের নাম মুখস্থ বলতে পারত”। মেয়ের এমন প্রতিভায় খুবই গর্বিত তিনি।

Back to top button
%d bloggers like this: