রাজ্য

’১৫ দিনের মধ্যে উলঙ্গ না করতে পারলে রাজনীতিতে পা রাখব না’, কাঁথিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বেলাগাম আক্রমণ অভিষেক

আজ রাজ্যের দুই প্রান্ত কাঁথি ও ডায়মন্ড হারবারে ছিল দুই হাইভোল্টেজ সভা। ডায়মন্ড হারবার যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যখন সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে শাসানি দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় অন্যপ্রান্তে অর্থাৎ কাঁথিতেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একইভাবে ঝাঁঝালো সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ, শনিবার শুভেন্দুর বাড়ির কাছেই সভা করেছেন অভিষেক। তারপর সেই সভা থেকে কখনও শুভেন্দু তথা অধিকারীদের কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, কখনও পষ্টাপষ্টি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন।

অভিষেক এদিন বলেন, “একজন ঠিকাদার আর এক জন ঠিকাদারকে বলেছেন উনি এখানে চক্র চালিয়েছেন। তাঁরাই হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির টেন্ডার পেতেন, তাঁরাই সেচের কাজ করতেন, তাঁরা দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাজ পেতেন আবার তাঁরাই জেলা পরিষদের কাজ পেতেন। মেয়েদের হস্টেল বানাতে পর্যন্ত তিন বার টেন্ডার ডেকেছে। একটা ঠিকাদারকে ১৮০ কোটি টাকার কাজ দিয়েছে। নাম বলব নাকি সেই ঠিকাদারের”?

এখানেই না থেমে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, “যাঁরা মেয়েদের হোস্টেলের টাকা মারে, যাঁদের টিভিতে টাকা নিতে দেখা যায়, যাঁরা শশ্মানে দোকান বসিয়ে তোলা তোলে, তাঁদের কাছে সততার পাঠ নেব না”। তার পর শুভেন্দুর উদ্দেশে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “১৫ দিন সময় দিয়ে গেলাম। এই কলেজের মাঠে তুমি তোমার খাতা নিয়ে এসো, আমি আমার খাতা নিয়ে আসব। লোকের সামনে যদি উলঙ্গ করতে না পারি রাজনীতিতে পা রাখব না”।

একথা বলেই অভিষেক এদিন ওই দুই ঠিকাদারের নাম বলেন। এদের নাম সুনীল মণ্ডল ও এন সি গিরি। আর সেই চিফ ইঞ্জিনিয়ারের বাম অনীশ ঘোষ। সেই অনীশ ঘোষের সম্পত্তির হিসাবও এদিন দিয়েছেন অভিষেক।

অভিষেক বলেন, “আরে আপনি ফুটেজ খেতে ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছেন। আপনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কেন্দ্রে গেলে মিডিয়া আপনার পিছন পিছন যাবে, এই ভেবে গিয়েছেন। আপনি ফুটেজ খেতে আমার নাম নিচ্ছেন, হেডলাইনে থাকতে আমার নাম নিচ্ছেন, দিল্লির কাছে নম্বর বাড়াতে আমার নাম নিচ্ছেন, সব জায়গায় আমার নাম নিচ্ছেন। আচ্ছা ঠিক আছে আপনি আমার নাম ব্যবহার করুন। আমি ধার দিলাম। যতবার আমার নাম নেবেন তত অক্সিজেন পাবেন”।

এদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, আগামী ৬ মাসে তারা তাঁকে যতবার ডাকবে, ততবার তিনি মেদিনীপুরে যাবেন। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, অভিষেক আসলে রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে চলছেন। অভিষেক বারবার পূর্ব মেদিনীপুরে গিয়ে কাঁথি ও তমলুকে অধিকারীদের ভিত দুর্বল করে দিতে চাইছেন। সেই সঙ্গে শুভেন্দুকে বাধ্য করতে চাইছেন যাতে তিনি তাঁর নিজের এলাকায় আরও বেশি সময় দেন।

Back to top button
%d bloggers like this: