রাজনৈতিক সৌজন্যতা অগ্নিমিত্রার! সারমেয়র গায়ে তৃণমূলের পতাকা বাঁধা দেখে যত্ন নিয়ে খুলে রাখলেন বিজেপি নেত্রী

এক সারমেয়র গায়ে বাঁধা ছিল তৃণমূলের পতাকা। সেই বিষয়টি নজরে আসতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি সৌজন্য দেখালেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
গতকাল, শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটে আসানসোল ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে গোয়ালা পাড়া এলাকায়। এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রজনী লতা সিংয়ের হয়ে প্রচারে যান অগ্নিমিত্রা। প্রচারের ফাঁকেই তিনি দেখতে পান একটি পথকুকুরের গায়ে তৃণমূলের পতাকা বাঁধা রয়েছে। দেখেই কুকুরটিকে ডেকে আদর করেন তিনি।
প্রচারে থাকা বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওই কুকুরটিকে দেখিয়ে তিনি বলেন, “২০২৬”। এরপর প্রচার সেরে চলেও যান। কিন্তু ফের ফিরে আসেন বিজেপি নেত্রী। পথকুকুরটির গা থেকে তৃণমূলের পতাকাটি খুলে নেন তিনি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা জানান, “রাজনৈতিকভাবে যতই তৃণমূল বিরোধী দল হোক না কেন, যে কোন দলের পতাকা তাদের কাছে ভগবানের মতো। আর তাই তৃণমূলের পতাকাকে সম্মান দিতেই কুকুরের গায়ে থেকে পতাকাটা খুলে ফেলেছি”।
তাঁর আরও সংযোজন, “হয়তো কোন বাচ্চা ছেলে এই কাজ করে থাকতে পারে। কিন্তু, তৃণমূল নেতারা এত নির্বিকার কেন? তাদের পতাকাটিকে কুকুরের গায়ে বেঁধে রাখা হয়েছে, সেটি কেউ খুলে রাখার ব্যবস্থা কেন করেনি”? এই নিয়েও সরব হন অগ্নিমিত্রা।
অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবী, এই কাজ দলের কেউ করেনি। তাদের মতে, বিজেপি নিজেই এই কাজটি করেছে ও প্রচার পেতে নিজেই খুলেছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অশোক রুদ্র সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “উনি যে সময় প্রচারে গেলেন, সেই সময়েই গায়ে তৃণমূলের পতাকা বাঁধা কুকুরটি এল? এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে বিষয়টি ওনারাই ঘটিয়েছেন”। কুকুরকে দেখিয়ে অগ্নিমিত্রার ‘২০২৬’ বলা নিয়ে অশোক রুদ্র কটাক্ষ করে বলেন, “এটা ওনার রুচির পরিচয়”।
প্রসঙ্গত, আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি আসানসোল পুরসভায় নির্বাচন। বিজেপির রাজ্য কমিটির রদবদলের পর দায়িত্ব বেশ বেড়েছে অগ্নিমিত্রার। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনি। বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্বে এখন আর তিনি নেই। এই দায়িত্ব পেয়েছেন অনুজা চক্রবর্তী।