পুরসভায় চাকরি ও পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের এসিপি

পুরসভায় চাকরি ও পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের এসিপি-র বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের অষ্টম ব্যাটেলিয়নের এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।
জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা শৌর্য সাহাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে টাকা নেন ওই এসিপি। হাইকোর্টে পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ ভট্টাচার্যর নামে মামলা করেন শৌর্য সাহা। সেই মামলার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শুধু তাই-ই নয়, ২০২১ সালে কলকাতা পুলিশের এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য বরানগরের বাসিন্দা দুই ভাইবোনের থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে একজনকে পুরসভায় চাকরি ও অন্যজনকে পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই এসিপি।
তবে টাকা নিলেও চাকরি বা লাইসেন্স কোনওটাই হয়নি। সেই কারণে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই ভাইবোন। অভিযোগ দায়ের করেন সোমনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। তবে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যান ওই পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনায় আবার বাগুইহাটি এলাকার কৌস্তভ দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপরই প্রতারিতরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের গোয়েন্দা দফতর ও বরানগর থানা। তাদের যৌথ উদ্যোগে বরানগর আলমবাজার দেশবন্ধু রোডে সোমনাথ ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।