রাজ্য

‘বিজেপিকে বাবা ভাবলেও, ওরা কিন্তু সেটা নয়, পুলিশের মধ্যেই চর রয়েছে’, পুলিশকে হুঁশিয়ারি মদনের, বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা

মাঝেমধ্যেই নানান মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। নিজের মন্তব্যের জেরে নানান বিতর্কেও (controversy) জড়াতে হয় তাঁকে। এবার ফের তেমনই ঘটনা ঘটল। ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে (Barrackpore Commissionerate) প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি শানালেন মদন। তাঁর কথায়, পুলিশের মধ্যেই চর রয়েছে।

পুলিশের উদ্দেশে মদন মিত্র বলেন, “পুলিশকে বলি, আপনারা বোধহয় ভুলে যান, তৃণমূল শাসকদল। ক’দিন আগে পৌরসভার ঠিক আগে ৫০টি মাইক লাগিয়ে সিপিএম মিটিং করল। চোখে পড়ল না আপনাদের! মুখ ঘুরিয়ে উলটোদিকে হাসছেন? সব পুলিশ নয়, তবে পুলিশের মধ্যে চর রয়েছে। এইটুকু জেনে রাখুন শুধু, বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে, কী করে ঠান্ডা করতে হয় বাংলা, তৃণমূলের কাছে তার মন্ত্র রয়েছে। প্রয়োজনে তার প্রয়োগ হবে। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন, তৃণমূলের কর্মীরা জানেন কীভাবে চলতে হয়। আর আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও, ওরা কিন্তু বাবা নয়”।

হুঁশিয়ারি দিয়েই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “এরা তিনটেই বদমাইশ। শয়তান। এক বিজেপি, এক কংগ্রেস, আর এক সিপিএম। মনে রাখবেন, এই তিনটেকে বান্ডিলে প্যাক করে কীভাবে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় তর্পণ করাতে হয়, নেড়া করাতে হয়, আমরা তৃণমূলরা জানি”।

মদনের এহেব মন্তব্যে যে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা। একজন বিধায়ক প্রকাশ্যে কীভাবে পুলিশকে হুমকি দিতে পারেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “ভক্তি করে নয়। সকলে ভয়ে সমর্থন করত তৃণমূলকে। একে একে নেতারা জেলে যাচ্ছেন। ভয় কেটে যাচ্ছে মানুষের। বিনাশকালে এমন বক্তব্য আরও শুনব আমরা। যত এমন মন্তব্য হবে, তত শীঘ্র বিনাশ”।

অন্যদিকে, মদনের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর কথায়, “তৃণমূল ফেল করেছে। তাই পুলিশও ফেল করছে। তাতে তৃণমূল নেতাদের মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে আর উলটোপালটা বকছেন”। তবে মদন মিত্রের এমন মন্তব্যকে কার্যত সমর্থন করেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বিরোধী বিজেপি এবং সিপিএমই পুলিশকে বারবার হুমকি দিয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: