‘ওদের হৃদয় নেই, বিশ্বভারতীতে যা যা হচ্ছে কাম্য নয়’, নানান অভিযোগ তুলে ফের একবার উপাচার্যকে কটাক্ষ মমতার

পড়ুয়াদের হেনস্থা থেকে শুরু করে অধ্যাপকদের সাসপেন্ড, এমন নানান অভিযোগ উঠেছে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ, বুধবার বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অব্যবস্থার কথা শোনার পর মমতা বলেন, “ওদের হৃদয় নেই”।
এদিন আশ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ওদের হৃদয় নেই, বিশ্বভারতীতে যা যা হচ্ছে এগুলি কাম্য নয়। মমতা বলেন, বিশ্বভারতী আন্তর্জাতিক সংস্থা। কিন্তু আজ আমি যা যা শুনলাম। সেটা কোনওভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে ছাত্রছাত্রী শিক্ষক, প্রাক্তনী, আশ্রমিক সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে”।
সম্প্রতি নানান অভিযোগের জেরে বিশ্বভারতীর অনেক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন পড়ুয়াদের ১০ সদস্যের একটি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের অভিযোগ জানান। তারা জানান যে তাদের নানানভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করা নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যে যাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাদের কেরিয়ারে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, “আমি চাই ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করুক। অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। নানারকম ভাবে অত্যাচার চলছে। এগুলি নিয়ে আলোচনা করতে দেখি না। জনমত নির্বিশেষে সবার বিশ্বভারতীকে রক্ষা করার দায়িত্ব। শুধু পুঁথি পড়েই সবকিছু জানা যায় না”।
তিনি বলেন, “আমি ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা লোক। বিশ্বভারতী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র”। মমতা এদিন আশ্বাস দেন যে তিনি আশ্রমিক-সহ সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তাঁর কথায়, “যে ভাবে ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে তা ঠিক হয়নি। তাদের উপর অত্যাচার চলছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ নষ্ট হচ্ছে। গৈরিকীকরণের জন্য কেউ যদি চাপ দিতে থাকে মেরুকরমণের চেষ্টা করে, তাহলে জানবেন আমি প্রতিবাদীদের পাশে আছি”।