রাজ্য

এসএসসির ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় নাম তৃণমূল নেত্রীর মেয়ের, ‘বাগদার রঞ্জনের’ সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ, তুমুল শোরগোল

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এবার ফের ঘটল সেরকমই এক ঘটনা। এসএসসি-র ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় এবার নাম উ ঠল তৃণমূল নেত্রীর মেয়ের। যদিও গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর দাবী, তাঁর মেয়ে নয়, অন্য একজনের নাম রয়েছে তালিকায়। এই গোটা ঘটনায় ফের একবার ‘বাগদার রঞ্জনের’ নাম উঠে এল।

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

জানা গিয়েছে, বাগদা ব্লকের বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুদেবী মণ্ডলের মেয়ে হলেন মৌসুমি মণ্ডল। তার নামই রয়েছে এসএসসি প্রকাশিত নিয়োগ কেলেঙ্কারির তালিকায়। এই তালিকার ৪১৯ নম্বরে নাম রয়েছে তার। গাড়াপোতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভূগোলের শিক্ষিকা তিনি।

যদিও সুদেবী মণ্ডল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবী, “তালিকায় থাকা মৌসুমী আমার মেয়ে নয়। কারণ তালিকায় থাকা মৌসুমী নামের পাশে তাঁর বাবার নাম লেখা নেই। ওটা অন্য কোনও মৌসুমী হবে”। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়েছে চারিদিকে।

এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর। তাঁর দাবী, মৌসুমির স্বামী ‘বাগদার রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। চন্দনকে টাকা দিয়েই মৌসুমি চাকরি পেয়েছেন বলে দাবী তাঁর।

প্রাক্তন বিধায়কের কথায়, “চন্দন মণ্ডল জেলে থাকলেও তাঁর এজেন্টরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ তাঁদের গ্রেপ্তার করে জেলে ভরতে হবে। প্রকাশিত তালিকায় চন্দনের আশপাশের এলাকার আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই চন্দনের দ্বারা চাকরি পেয়েছে”।

বলে রাখি, বাগদার মামা ভাগিনা গ্রামের চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জন আপাতত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জেরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। আপাতত জেলবন্দি তিনি। মৌসুমী স্কুলে চাকরিরত সেই গাড়াপোতা হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পঙ্কজকুমার বেপারী এই বিষয়ে বলেন, “২০২১ সালে যখন ওই শিক্ষিকা অন্য স্কুল থেকে এসে আমাদের স্কুলে যোগদান করেছিলেন। তখন তাঁর রেকমন্ডেশন লেটারে যে রোল নম্বর ছিল আর এসএসসি থেকে প্রকাশিত তালিকায় যে রোল নম্বর রয়েছে তা একই। সেই নিরিখে বলা যায়, এই শিক্ষিকাই গরমিলের তালিকায় রয়েছেন”।

Back to top button
%d bloggers like this: