‘দলের এখন পয়সা হয়েছে, এখন আর আমাকে কী দরকার’, ঘনিষ্ঠ মহলে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পার্থর

গত বছর ২৩শে জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এই গ্রেফতারির আগে ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশই ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শেষ দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। এই বছর ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা মেলেনি তাঁর কারণ তিনি তো জেলবন্দি। তবে তাঁকে ছাড়াও দিব্য পালন হয়েছে ২১শে জুলাই। আর সেই মঞ্চে একবারের জন্যও তাঁর নামও উচ্চারণ করা হয়নি। সেই নিয়ে এবার ঘনিষ্ঠ মহলে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কী বলেছেন পার্থ?
আজ, সোমবার পার্থকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে পার্থ বলেছেন, “একুশের সভা থেকে আমার নাম করে কিছু বলেনি দেখে আমি খুশিই হয়েছি। যা খুশি বলে দিলে আমারই সমস্যা হত”।
সূত্রের খবর, এদিন পার্থ বলেন, “যখন দলে ২০০ জন লোক নিয়ে ২১ জুলাই হত, আমি করতাম। চাকরি ছেড়ে এসেছিলাম। এখন দল বড় হয়েছে। ক্ষমতায় আছে। দলের অনেক টাকা পয়সা হয়েছে। এখন আর আমার দরকার কী। মনে আছে আমি রুটি কালেক্ট করে একুশের সমাবেশ করতাম। অন্য কারোর কি মনে আছে”?
এদিন দলের প্রতি বেশ কিছুটা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে পার্থ বলেছেন, তাঁর সাড়ে পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বের সময় রাজ্যে আড়াই লক্ষ চাকরি হয়েছে। ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও বেড়েছে। একুশের নির্বাচনে জেতার পর এই সরকারের প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। কত জনকে চাকরি দিয়েছে সরকার, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পার্থ
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। পার্থর কথায়, এমন অনেকে রয়েছে, যারা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। এদিন নাকি পার্থ বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারছে না। ট্রায়াল শুরু করতে পারছে না। বলছে অন্য একটা ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধারের টাকা আমার। আমি বলছি ওই টাকা যে আমার সেটা কে বলল”?
এদিন আদালতে ঢোকার মুখেও সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পার্থ। তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন নিয়োগ দুর্নীতি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বলে বারবার দাবি করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা নিয়ে কী মত পার্থর? জবাবে তিনি বলেন, “কে কী বলল কিছু এসে গেল না। এটুকু বুঝেছি আমাকে জোর করে বিনা বিচারে এখানে আটকে রাখা হয়েছে”।