রাজ্য

‘আমি অসুস্থ, কিন্তু দলের কেউ খোঁজ নেয় না’, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ প্রবীণ তৃণমূল নেতা রেজ্জাক মোল্লার

১৯৭৭ সালের সেই তেজি নেতা আজ অসহায়, হুইল চেয়ারে বসেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। এখন আর চলাফেরা করার ক্ষমতা নেই। দূর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ রেজ্জাক মোল্লা।

বাম আমলে দীর্ঘদিন তিনি মন্ত্রিসভার পদ সামলেছেন। ২০১৪ সালে দল বিরোধী মন্তব্য করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন সিপিএম। এরপর ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন রেজ্জাক মোল্লা। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় ছিনিয়ে এনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন তিনি। তবে এবার আর নির্বাচনের টিকিট পাননি রেজ্জাক মোল্লা। নিজের অসুস্থতার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েওছেন দলনেত্রীকে।

আরও পড়ুন- বড় খবরঃ এবার বেসুরো অনুব্রত মণ্ডল! খেলা হবে না বীরভূমে?

এখন আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে বা হাঁটাচলা করতে পারেন না এই বর্ষীয়ান নেতা। হুইল চেয়ারই তাঁর সম্বল। তিনি মনে জন্মেছে ক্ষোভ। তাঁর অভিযোগ, তাঁর অসুস্থতার কথা দলকে জানালেও কেউ দেখতে আসা তো দূর, কোনও খোঁজ খবর পর্যন্ত নেয়নি কেউ। তবে এখনও তিনি ভোলেননি তাঁর পুরনো বন্ধু কান্তি গাঙ্গুলি, সুভাষ নস্করের কথা। মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার কথা শুনে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন রেজ্জাক।

এসবের মধ্যে এখন আর আগের মতো তেজ নেই তাঁর মধ্যে। দীর্ঘ সময় ধরে এই দাপুটে নেতা বাড়িতেই কাটান। বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফের জোট যে বাংলায় সেভাবে ফল করতে পারবে না, একথা স্পষ্ট জানান তিনি। এও বলেন যে, বিজেপিও এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে না।

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উল্টো সুর, নন্দীগ্রামের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খারিজ মমতার, টুইটে বিঁধলেন মালব্য

কিছুদিন আগেই তৃণমূলের তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভাঙড় থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রেজাউল করিমকে। এই কারণে তিবত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর সমর্থকরাও ভাঙড়ে বিক্ষোভ দেখায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠক করে শান্ত হন তিনি।

Back to top button
%d