রাজ্য

বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে দলবদলের অফার তৃণমূলের, মধ্যস্থতায় খোদ বিজেপি জেলা সভাপতি

পঞ্চায়েত ভোটে বেশিরভাগ আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপিও ভালোই ফল করেছে পঞ্চায়েতে। এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ভাঙিয়ে দলে টানার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলবদলের জন্য বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের মোটা টাকার লোভও দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

সদ্যই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু এরপরও বঙ্গ বিজেপির উপর থেকে কালো মেঘের ছায়া সরছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চল এবং মাইসোরা অঞ্চলে জয়লাভ করে বিজেপি। কিন্তু এরপরই নাকি তৃণমূলের কাছ থেকে বার্তা আসছে  বলে জানা যাচ্ছে।

জানা গিয়েছে, তৃণমূলে যোগদান করলেই মিলবে লক্ষ লক্ষ টাকা, এমনই প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের। আর তার মধ্যস্থতা করছেন বিজেপির জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা কোষাধ্যক্ষ জগদীশ প্রামাণিক ও জেলা নেতৃত্বরা। এই অভিযোগ করলেন বিজেপি-র জয়ী প্রার্থীরা।

এই বিষয়ে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের মধ্যে থেকে যারা তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, এটা তাদেরই কাজ। তারাই একজোট হয়ে দলের কার্যকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ আনছেন। আমরাও বোর্ড গঠনের সময় এদের ভূমিকার উপর নজর রাখব। পুরো বিষয়টি রাজ্যে নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে”।

কী জানাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থীরা?

জয়ী প্রার্থীরা জানাচ্ছেন, তাদের অনবরত বলা হচ্ছে যে তৃণমূলে যোগ দিলেই প্রধান ও উপপ্রধানের পদ মিলবে। দলবদল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাই বিজেপি প্রার্থীরা ভিনরাজ্যে ঠাঁই নিচ্ছেন বলে খবর। তাদের মতে, তারা যদি বাড়ি যান তাহলে জোর করে তাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হবে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই দুই অঞ্চলের ২২ জন জেতা প্রার্থী ভিনরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।

এই বিজেপি প্রার্থী জানান, “তৃণমূলে যোগ দিলেই মিলবে লক্ষ টাকা। এমনই টোপ দেওয়া হচ্ছে আমাদের। আর মধ্যস্থতা করছেন বিজেপির জেলা সভাপ তি তপন ব্যানার্জি, জেলা কোষাধ্যক্ষ জগদীশ প্রামাণিক ও জেলার কয়েকজন নেতা”। তবে তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: