রাজ্য

‘আমি না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্নে বসতে পারবেন না’, বেফাঁস মন্তব্য করে হুঁশিয়ারির সুরে বললেন তৃণমূল বিধায়ক

ফের একবার বেফাঁস করে বসলেন এক তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। “আমি না জিততে পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) নবান্নে বসতে পারবেন না”, এক কর্মীসভায় এমনই মন্তব্য করে বসলেন পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক (Gulshan Mullick)। তাঁর এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে।

গত সোমবার বিকেলে পাঁচলার ধুলোর বাঁধ এলাকায় তৃণমূলের একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মীসভা থেকেই তিনি বলেন, “আমি যদি ভোট না পাই তাহলে সন্ন্যাস নিয়ে নেব। আর আমি যদি পাঁচলায় না জিতি তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বসতে পারবেন না”।

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর হাতের তৈরি জনমুখী প্রকল্পের কথাও বলেন তিনি। এই সভা থেকেই বিধায়ক গুলশান মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, “জেলাপরিষদ, সমিতি, গ্রামসভা দখল করতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব”। তবে ভোটে জেতা নিয়ে করা তাঁর এহেন মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “কেউ যদি এহেন মন্তব্য করে থাকেন সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। উনি ব্যক্তিগতভাবে কী মন্তব্য করবেন, তার দায় দলের নয়”।

তবে এই প্রসঙ্গে সমালোচনা করতে ছাড়েনি স্থানীয় বিরোধী নেতৃত্বও। পাঁচলার ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে বলেন, “গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াতে ভোটাধিকার দিয়ে মানুষে র রায়ে দখল করবে না বলপূর্বক? যদি বলপূর্বক হয় বুথ দখল করে, কাউন্টিং স্বচ্ছভাবে না হয় তাহলে উনি পারবেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটে কী হয় সেই দিকে তাকিয়ে রইল আমজনতা”।

বলে রাখি, দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হলেন বিধায়ক গুলশান মল্লিক। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়াই করেছিলেন তিনি। জয়ীও হয়েছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে পরপর তিনবারই পাঁচলা থেকে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হয়েছেন। সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেন গুলশন মল্লিক। তাঁর মুখে এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় বেশ কানাঘুষো শুরু হয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: