‘টুম্পা সোনা’ গানে উদ্দাম নাচ, দু’বছর সব ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধ ৫ জনের! শাস্তি দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রসঙ্গত এই গানটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। গ্রাসরুট থেকে এলিট সর্বত্র বেজেছে এই গানটি। যদিও রুচির পার্থক্য রয়েছে। কারণ গানটির ভাষা বেশ অশ্লীল। এবং কোনও শিক্ষাপ্রাঙ্গনে এই জাতীয় গান মূলত সরস্বতী পুজোর দিন বাজানো সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যে আঘাত হানে বৈকি।
ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, ‘এই ঘটনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে না। আশ্বাস দিয়ে জানান তদন্ত করে এই কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আর এবার সেই ব্যবস্থাই নিল বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ‘টুম্পা সোনা’ গানে উদ্দাম নাচের অপরাধে শাস্তি দেওয়া হল ৫ জনকে।
নাচের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার তদন্ত করা হবে। ঠিক সেই মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠন করা সিন্ডিকেট শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিন্ডিকেট ইতিমধ্যে ৫ জনকে চিন্থিত করেছে। তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে। জানা গেছে শাস্তিস্বরূপ আগামী ২ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের আশুতোষ বিল্ডিংয়ের সামনে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেখানে যা ছবি ধরা পড়ে, তাতে মনে হচ্ছিল, সম্ভবত বাংলাকে ‘টাটা’ বলে চলে গেছে করোনা। আর কখনও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া কারও মুখে মাস্ক ছিল না।
তবে সেখানেই শেষ হয়নি, তারস্বরে ‘টুম্পা সোনা’ গান বাজিয়ে কোমর দুলিয়ে নাচতে থাকেন পড়ুয়াদের একাংশ। রীতিমতো উদ্দাম নৃত্য চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। তার জেরে স্বভাবতই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কীভাবে করোনা পরিস্থিতিতে এরকমভাবে বিধির তোয়াক্কা না করে পুজোর আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষা মহলের একাংশ।
এই ঘটনায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে জানান হয়েছে, যেহুতু তারা প্রত্যেকবছর পুজো করে, তাই এইবছরও তারা পুজো করেছে।