খেলা

ইডেনে বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিটের জন্য হাহাকার, টিকিট নিয়ে দেদার কালোবাজারির অভিযোগ, কী বললেন সৌরভ

আগামীকাল, রবিবার ইডেনে রয়েছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ। এই ম্যাচের টিকিটের জন্য প্রথম থেকেই হাহাকার পড়ে গিয়েছে। টিকিট যেন হট কেক, মুহূর্তে উধাও টিকিট। রবিবারের ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

গতকাল, শুক্রবারও এই ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি করার অভিযোগে  কলকাতা ও শহরতলি থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টিকিট বিক্রির স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থা ও সিএবি-কে নোটিশ পাঠায় পুলিশ।

কী বললেন সৌরভ?

টিকিট নিয়ে এই হাহাকার প্রসঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, “সবাই কী করে টিকিট পাবে? আসন তো ৬৭ হাজার। মাঠ তো খেলার দিন ভর্তি থাকবে। তার বেশি টিকিট কীভাবে দেবে”।

টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে দাদা বলেন, টিকিট একবার বিসিসিআই অফিস থেকে কিংবা ইডেন গার্ডেন্স থেকে বেরিয়ে গেলে, তাতে কারও কন্ট্রোলে থাকে না। সৌরভের প্রশ্ন, “বাইরে মানুষ টিকিট কিনে কী করছে, কে ধরবে”? তিনি এও বুঝিয়ে দিলেন যে টিকিটের যদি কালোবাজারি হয়, তাহলে তা একমাত্র পুলিশই বন্ধ করতে পারে।  

সৌরভ একথা মেনেও নেন যে এর আগেও টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে বহুবার। বিশ্বকাপের উদাহরণ টেনেই তিনি বলেন, “আমি বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের টিকিট ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি হতে দেখেছি। ৩-৪ হাজার ডলারের টিকিট ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এটাই চাহিদা”।

তবে এদিন সৌরভ এটা স্পষ্ট করে দেন যে সিএবি-র তরফে টিকিটের কালোবাজারি করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “সিএবি কীভাবে কালোবাজারি করবে! সিএবির টিকিট তো ক্লাবগুলি পায়। এবার তো সিএবির বক্স অফিসই নেই। সিএবি কীভাবে টিকিট বিক্রি করবে”?

Back to top button
%d