জ্যোতিষশাস্ত্র
ভাইয়ের হাতে রাখি পরানোর সময় ভুলেও এই ৮ কাজ করবেন না, নেমে আসবে অশুভ ছায়া

এই বছর রাখি পূর্ণিমা থাকছে দু-দিন ৩০ ও ৩১ আগস্ট। কিন্তু ভদ্রার ছায়া থাকায় ৩১ আগস্টই পালিত হবে রাখি বন্ধন। ৩০ অগাস্ট রাত ৯টা ২ মিনিট থেরে রাত ১১টা ১৩ মিনিটের মধ্যেও ভদ্রার অশুভ ছায়া এড়িয়ে ভাইয়ের হাতে রাখি পরাতে পারবেন বোনেরা।
রাখি বন্ধন একটি অত্যন্ত শুভ উত্সব। রাখি বন্ধনের এই বিশেষ দিনে ভাইয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা করে তাদের হাতে রাখি বা রক্ষাসূত্র পরিয়ে দেন বোনেরা। আর পরিবর্তে ভাইয়েরা নেন বোনেদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি। ভাই বোনের এই মধুর দিনে যাতে কোনও অশুভ ছায়া না পড়ে, তার জন্য সচেষ্ট থাকেন সবাই। কিন্তু অনেক সময় আমরা নিজেদের অজান্তেই এমন কাজ করে ফেলি, যাতে অশুভ প্রভাব পড়ে যায়।
দেখে নেওয়া যাক, রাখির দিনে কোন কোন কাজ ভুলেও করতে নেই-
- রাখির একদিন আগে ভগবান গণেশ, শ্রীকৃষ্ণ ও মহাদেবকে রাখি পরান। প্রথম রাখি ভগবানকে পরিয়ে তারপর শুরু হোক রাখি বন্ধন উত্সব।
- প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি রাখি ভাইকে পরালে তা অশুভ প্রভাব নিয়ে আসবে। রাখিতে যেন কোনও অশুভ চিহ্ন না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- কালো সুতো দিয়ে তৈরি রাখি বা কালো রঙের রাখি ভুলেও ভাইকে পরাবেন না। কোনও রকম ভাঙা, ফাটা, ছেঁড়া রাখি কখনোই পরাতে নেই। এটি অত্যন্ত অশুভ প্রভাব নিয়ে আসে।
- রাখি পরানোর সময় ভাই ও বোন, উভয়ের মাথাই ঢাকা থাকতে হবে।
- রাখি জ্বালানোর সময় আরতির প্রদীপ যেন জ্বলতে থাকে। প্রদীপ নিভে গেলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়।
- রাখি পরানোর সময় খেয়াল রাখবেন, ভাইয়ের মুখ যেন দক্ষিণ দিকে না থাকে।
- রাহুকাল বা ভাদ্রকাল চলার সময় ভুলেও রাখি পরাবেন না।
- রাখি পরানোর সময় ভাইকে কুমকুমের তিলক পরাবেন না, বরং চন্দনের তিলক লাগাতে পারেন।