আন্তর্জাতিক

করোনার বিস্ফোরণ চীনে! লক্ষ লক্ষ মৃত্যু গোপন থেকে মৃতদেহ লোপাট করছে চীন, খুলে রাখা হয়েছে শ্মশানের সিসিটিভি, আতঙ্কে আত্মহত্যা বয়স্কদের

চীনে করোনা আক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আমেরিকার একটি রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে যে চীনে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই করোনায় আক্রান্ত। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সংক্রমণ ধরা পড়ছে। মৃত্যু হচ্ছে লাখ লাখ আর সেই সমস্ত তথ্য লুকিয়ে যাচ্ছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতেই চীনে ধরা পড়ে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট বি.এফ.৭। সেই সংক্রমণ দ্রুত মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র প্রধান দাবী করেছিলেন যে চীনে করোনায় ঠিক কতজনের মৃত্যু হচ্ছে, সেই খবর ঠিকঠাক দিচ্ছে না বেজিং। মৃত্যুর সংখ্যাও গোপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, চীনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। আগামী তিনমাসের মধ্যে কমপক্ষে ২০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পাড়ে চীনে, এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে করোনা-সংক্রমণ সংখ্যার মতো কোনও তথ্য তারা আর প্রকাশ করা হবে না। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর তরফে জানানো হবে। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত তাও জানানো হয়নি। এদিকে শহরের হাসপাতালের আইসিইউ উপচে যাচ্ছে রোগীতে। শেষকৃত্যের স্থানে মৃতদেহ নিয়ে পরিজনদের লম্বা লাইন।

অন্যদিকে, পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমগুলি দাবী করেছে যে শহরের ২-৩টি শ্মশান শুধুমাত্র করোনা রোগীদের দেহ সৎকারের জন্য রাখা হয়েছে। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর একটি করে শববাহী গাড়ি ঢুকছে শ্মশানে। শ্মশানের বাইরে লম্বা লাইন। পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবী, মৃতের সংখ্যা যাতে ফাঁস না হয়, সেই কারণে শ্মশানের সিসিটিভি ক্যামেরাও খুলে দিয়েছে প্রশাসন। নিত্যদিন কত মানুষকে দাহ করা হচ্ছে, তার কোনও হিসেব দিচ্ছে না চীন। মৃতদেহ লোপাট করার জন্যও একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে শি জিনপিংয়ের সরকার, এমনটাই দাবী পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমগুলির।

এও জানা যাচ্ছে যে চীনের এক একটি গ্রাম থেকেই দিনে অন্তত ৫০০ জন রোগীর খোঁজ মিলছে যাঁদের বয়স ষাটের বেশি। শহরের তুলনায় গ্রামে গ্রামে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। সেখানে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাও মিলছে না। অনেকেচিকিৎসা না পেয়েই মারা যাচ্ছেন তো কেউ কেউ আবার বেছে নিচ্ছেন চরম পথ। বেজিং এই খবর সামনে না আনলেও কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, কোভিড আতঙ্কে ভিটেমাটি ছেড়ে পালাচ্ছেন বয়স্করা। কোথাও আবার রোগের আতঙ্কে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে বলেও জানা গিয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: