উপচে পড়ছে মর্গ, শ্মশানে নেই জায়গা, রক্তেরও আকাল দেশে, প্রশ্নের মুখে পড়ে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ বন্ধ করে দিল চীন

সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। হাহাকার চলছে গোটা দেশজুড়ে। রক্তের আকাল, নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন। জায়গা মিলছে না হাসপাতালে। এসবের মধ্যেই এবার করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দিল চীন। গতকাল, রবিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বা এনএইচসি-র তরফে জানানো হয় যে করোনা নিয়ে আর কোনও তথ্য প্রকাশ করা হবে না তাদের তরফে।
এই প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করে এনএইচসি-র তরফে জানানো হয়েছে, “এ বার থেকে দেশের কোভিড সংক্রান্ত আর কোনও তথ্য দেবে না এনএইচসি। কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করবে সেন্টার ডিজ়িজ় ফর কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)”। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি এনএইচসি-র তরফে। এমনকি, কোন সময়ে, কীভাবে সিডিসি করোনা সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করবে, সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চীনে। সেখানে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৩ কোটি ৭ লক্ষেরও মানুষ। সে দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসনের তরফেই এমন ভয়ঙ্কর তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর আগে যখন গোটা বিশ্বে করোনা আছড়ে পড়ে, সেই সময়ও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষের কাছে। কিন্তু এবার যেন আক্রান্তের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেল।
কোভিড মোকাবিলায় বেজিং প্রশাসনের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। মর্গে মৃতদেহে উপচে পড়ছে, জ্বরের ওষুধও মিলছে না সে দেশে। থামছে না মৃত্যু মিছিল। এর মধ্যেই নতুন করে আকাল দেখা দিয়েছে রক্তের। চিনের বিভিন্ন প্রান্তে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজন মতো রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার তরফে দাবী করা হয়েছে যে গত ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে চীনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সেই তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে চীন সরকারের বিরুদ্ধে। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে যে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সে দেশে।