আন্তর্জাতিক

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এবার চীনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ে জারি সম্পূর্ণ লকডাউন

চীনের নানান এলাকাতেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কোনও ভাবেই তা ঠেকানো যাচ্ছে না। অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত দু’বছরেও সে দেশের পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়নি। এর ফলে শি জিনপিং-এর দেশে ‘জিরো কোভিড’ নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন আবহে গত রবিবার চীনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ের অর্ধেকের বেশি এলাকা জুড়ে প্রথম দফার লকডাউন জারি করা হয়েছে।

অতিমারি পর্বের প্রথম থেকে ‘জিরো কোভিড’ নীতি নিয়ে চলা চীনের বেশির ভাগ শহরে ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রান্ত নানা বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে সাংহাইয়ের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয় যে গোটা শহর গণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই কারণে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সাংহাইয়ের অন্তর্গত পুডং আর্থিক জেলা এবং আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে লকডাউন জারি থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে, সাংহাইয়ে মাঝ দিয়ে বয়ে চলা হুয়াংপু নদীর পশ্চিমে বিস্তীর্ণ ঘনবসতিপূর্ণ ডাউনটাউন এলাকায় পাঁচ দিনের লকডাউন শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

বলে রাখি, গত রবিবার সাংহাই শহরে নতুন করে মোট ৩,৫০০টি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য আমেরিকার মোটরগাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা টেসলা-সহ নানান সংস্থার কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগেই উত্তর-পূর্ব চীনের জিনিন প্রদেশকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই সেই এলাকার প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দী। এই প্রথম করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের কোনও এলাকাকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্বের কথা জানা যায়, সেই সময় গোটা প্রদেশে লকডাউন জারি করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু কোনও প্রদেশকেই এভাবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন কখনও করে দেওয়া হয়নি।

Back to top button
%d