দুর্গাপুজোতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে কোনও বাধা নেই, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট, ‘অস্বস্তি’ কাটল রাজ্য সরকারের, তবে রয়েছে কিছু শর্ত

দুর্গাপুজোতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার বিষয়ে এবার অস্বস্তি কাটল রাজ্য সরকারের। পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দিতে কোনও বাধা নেই। আজ, মঙ্গলবারের এই মামলার রায়ে এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে ৬টি শর্ত মেনে চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, এই বছর দুর্গাপুজোর জন্য ৪৩ হাজার ক্লাবকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। গত দু’বছর যেখানে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে, সেই জায়গায় এই বছর আরও ১০ হাজার টাকা অনুদান বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশ খুশি পুজো উদ্যোক্তারা। তবে এই নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয় ও কলকাতা হাইকোর্টে এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়।
তবে কোন ৬টি শর্তে রাজ্য অনুদানের অনুমতি পেয়েছে, তা এখনও জানায় নি আদালত। নির্দেশনামা হাতে পেলেই তা বোঝা যাবে বলে জানাচ্ছেন মামলাকারীর আইনজীবীরাএখন সেই নির্দেশনামা হাতে পাওয়ার অপেক্ষা শুধু। তবে মনে করা হচ্ছে যে আদালত হয়ত একটি গাইডলাইন বেঁধে দিতে পারে। তবে উদ্যোক্তাদের মতে, শর্ত যাই-ই হোক না কেন, সবটা মেনেই পুজোয় অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তারা সেই টাকা ভালোভাবে পুজোর আয়োজনে কাজে লাগাতে চান।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে মামলাকারীর তরফের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন যে নির্দিষ্ট কোনও একটি সম্প্রদায়ের জন্য মানুষের করের টাকা রাজ্য খরচ করতে পারে না। এভাবে অনুদান দিতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন।
এর পালটা সওয়ালে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, “পুলিশ-প্রশাসন ও জনসাধারণের সংযোগ বৃদ্ধির কাজ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার এবং পর্যটনের প্রসার এই পুরো বিষয়টিই জনস্বার্থে করা হয়। রাজ্যের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও তার প্রচার করাই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য। এটাকে জনস্বার্থ ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে”?
সেদিনের ওই সওয়াল-জবাবের পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর রায় দেওয়া হল রাজ্যের পক্ষেই। তবে আদালত এবার কী কী শর্ত দেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে পুজোর উদ্যোক্তারা।