কলকাতা

জুলুমবাজি! পুলিশকে বিনা পয়সায় খাবার দিতে রাজি হন নি, চরম পরিণতি হল রেস্তোরাঁর মালিকের, বিস্ফোরক অভিযোগ কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে

পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে। ইএম বাইপাসে অজয়নগরে এক ফুড চেনের টেক অ্যাওয়ে কাউন্টারের মালিক রাজীব পাল অভিযোগ এনেছেন যে পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের এক আধিকারিক জয়জিৎ সাহা মাঝেমধ্যেই তাঁর রেস্তোরাঁ থেকে অনেক খাবার অর্ডার করেন। এর মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮-২০ হাজার টাকা। বিনা পয়সায় দেই খাবার নেওয়ার জোর করেন পুলিশকর্মী। কিন্তু তাতে রাজি হন নি রেস্তোরাঁর মালিক।

রেস্তোরাঁর মালিকের অভিযোগ, সেই রাগেই শনিবার সকালে কাঁচামাল-সহ রেস্তোরার একটি গাড়ি আটক করে পূর্ব যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কেন কীভাবে কী অভিযোগ হয়েছে, আমার জানা নেই। আমার বড়বাবু, আমার ডিসি যা বলার বলবেন। আমি শনিবার কোনও গাড়িই আটকাইনি। আমার এ বিষয়ে কিছু জানাই নেই”।

রেস্তোরাঁর মালিকের কথায় বিনা পয়সায় খাবার না পাওয়ার কারণেই তাদের গাড়ি আটকেছেন ওই পুলিশ কর্মী। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে কোনও এক ভিআইপি রাস্তা পার করানোর সময় অবস্ট্রাকশন তৈরি করতেই ওই গাড়িটিকে আটকানো হয়েছিল।

তবে রেস্তোরাঁর মালিক রাজীব পাল জানান, “সারা বছরই আমরা পুলিশের সঙ্গে বিশেষ করে ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে সহযোগিতা করি। পুজো বা যে কোনও অনুষ্ঠানে যেমন সহযোগিতা চাওয়া হয় আমরা করি। কিন্তু এই ভদ্রলোক কেন জানি না গত দু’ সপ্তাহ ধরে ১০-১৫ প্যাকেটের মতো ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন চাইছিলেন। আমাদের ক্যাশে যিনি থাকেন, তিনি বলেন এত টাকার জিনিসপত্র আমাদের দেওয়া সম্ভব না। বেশ কয়েকবার না করে। তারপরই শনিবার সকালের ঘটনা”।

রাজীব পাল জানান যে শনিবার সন্ধ্যায় এক পুলিশ আধিকারিকের সাহায্য নিয়ে জিনিসপত্রগুলি ছাড়িয়ে আনতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে গতকাল, রবিবার দুপুরে স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ওই রেস্তোরাঁর মালিক।

জানা গিয়েছে, ডেপুটি কমিশনার ট্রাফিক সাউথের কাছেও এই একই অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি জানান যে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দেখেন নি। তবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Back to top button
%d bloggers like this: