কলকাতা

ভয়ঙ্কর! লালবাজারের গুরুত্বপূর্ণ নথির কাগজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঠোঙা, তাতে বিক্রি কচুরি-সিঙ্গারা, এভাবেই গোপনীয় তথ্য ফাঁস হচ্ছে না তো?

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর হল লালবাজার। একে আবার স্কটল্যান্ডের ইয়ার্ডের সঙ্গেও তুলনা করা হয়। কত ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এই লালবাজার। কত বিপ্লবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী এই লালবাজারের অন্ধকার কুঠুরিতে দিন কাটিয়েছেন। সেই লালবাজার নিয়েই এবার উঠে এল এক ভয়ঙ্কর তথ্য।

লালবাজারের সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে বেশ শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি হল, কলকাতা পুলিশ হেড কোয়ার্টারের গুরুত্বপূর্ণ নানান নথির কাগজ দিয়ে ঠোঙা তৈরি হচ্ছে। আর সেই ঠোঙাতেই ভরে ভরে দেদার বিক্রি চলছে কচুরি-সিঙ্গারার।

লালবাজারের আশেপাশের চত্বরে অনেক ছোটোখাটো কচুরি-জিলিপির দোকান রয়েছে। সে দোকানেই লালবাজারের এই নথিগুলির জেরক্স কপি দিয়ে বানানো ঠোঙাতে বিক্রি হচ্ছে কচুরি, জিলিপি, সিঙ্গারা। সেই কাগজের কোনওটাতে অভিযুক্তকে সমন পাঠানোর নোটিশ রয়েছে তো কোনওটাতে আবার রয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের লেখা চিঠি। এমনই অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ওই ঠোঙার মাধ্যমে।

এই সমস্ত ঠোঙাতে কোনওটাতে আবার বেশ কিছু ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার জেরক্স কপিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এর ফলে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যে কোনও তদন্ত বিশেষ করে সাইবার ক্রাইমের কোনও তদন্তে গোপনীয়তা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। সাইবার ক্রাইমের জন্য যিনি অভিযোগ করেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য সে তদন্তের নথিতে থাকে। সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি লালবাজারের নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে কীভাবে বাইরে এল, তা নিয়ে ভাবাচ্ছে পুলিশকেও।

এই বিষয়ে ওই সিঙ্গারা-কচুরির দোকানের মালিকদের বক্তব্য, তারা লালবাজারের উল্টোদিকে জেরক্সের দোকান থেকে প্রত্যেক মাসেই জমা কাগজ কেনেন ঠোঙা তৈরির জন্য। সেই দোকান থেকেই লালবাজারের গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলির এমন জেরক্স কপি পেয়েছেন তারা।

অন্যদিকে, এই বিষয়ে ওই জেরক্সের দোকানের মালিকের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই অভিযোগ নাকোচ করে দিয়ে তিনি বলেন, তিনি এমন কাগজ নাকি এই প্রথমবার দেখছেন। এমন কাগজ তাঁর দোকান থেকে যায়নি। আসল ব্যাপারটা ঠিক কী, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা।

Back to top button
%d bloggers like this: