রাজ্য

‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে, কোনও লাভ নেই, সাত মন তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না’, মোদী-শাহ্‌’র বাংলা সফর নিয়ে খোঁচা তৃণমূলের শান্তনুর

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে। এরপরই রয়েছে আবার লোকসভা নির্বাচনও। এমন আবহে সকল রাজনৈতিক দলগুলিই নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বাংলায় নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে উদ্যত বিজেপিও। সেই কারণে বঙ্গ বিজেপির নেতা ও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এবার চলতি মাসেই বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তাদের সেই সফর নিয়ে খোঁচা দিলেব তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বাংলায় একাধিক জনসভা করতে করেছিলেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। জেলা হোক বা কলকাতা প্রতিটি জায়গাতেই জনসংযোগ করেছিলেন তাঁরা। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও এ রাজ্যে এসে ভোট প্রচার করেছিলেন। কিন্তু তবুও নির্বাচনের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি বঙ্গ বিজেপির। রাজ্যের শাসন ক্ষমতা ফের ছিনিয়ে নেয় সেই তৃণমূলই।

এই বিষয়টিকেই মনে করিয়ে দেন শান্তনু সেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী,অমিত শাহ থেকে শুরু করে এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারের মতো এই রাজ্যে এসেছেন। সেভেন স্টার হোটেলে থেকে, কলের জলের মতো টাকা খরচ করে, মিডিয়াকে দিয়ে মিথ্যে অপপ্রচার করিয়ে তাঁরা দেখে নিয়েছেন”।

চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, তার যে বেশি দেরি নেই, তা বেশ স্পষ্ট। এমন সময় ঘুঁটি সাজাতে ময়দানে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। গত মাসেই রাজ্যে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি মাসেও ফের আসছেন তিনি। তবে এবার আর একা নন, এবার তাঁর সঙ্গে বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

সেই নিয়েই বিজেপির টিপ্পনী করেন শান্তনু সেন। বলেন, “এই বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পর্যটন অনেক উন্নত হয়েছে। ওনারা বাংলায় ঘুরে বেড়ান, থাকুন। উন্নয়নকে পর্যবেক্ষণ করুন। নির্বাচনের জন্য এত কিছু করে কোনও লাভ নেই। বাংলার মানুষের মন মমতাময়ী হয়ে আছে, মমতাময়ী হয়েই থাকবে”।

Back to top button
%d bloggers like this: