পুজোর আগেই সংস্কারের কাজ শুরু হতে পারে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে, কতদিন বন্ধ থাকবে সেতু? বিকল্প রাস্তাই বা কী হবে?

দুর্গাপুজোর আগেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেতুর সংস্কার নিয়ে নবান্নে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই সেতুর সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেতুর সংস্কার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক করেন। পূর্ত দফতর এবং এইচআরবিসি-র আধিকারিকরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই সংস্কারের যাবতীয় কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নে আসতে গেলে দ্বিতীয় হুগলি সেতু অন্যতম পথ বটে। এই পথ দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। তা ছাড়া, হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতু ছাড়াও কলকাতার সঙ্গে দ্রুত হাওড়া জেলায় যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পথও এই সেতুই। তাই এমন একটি সেতুর সংস্কার আর ফেলে রাখতে নারাজ রাজ্য সরকার।
বিকল্প কী ব্যবস্থা থাকছে?
এই সেতুর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি বাসে করে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ নিত্যযাত্রী কলকাতা শহরে আসেন। ব্রিজে মেরামতির কাজ শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই সেই বাসগুলোকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে। এই ট্রাফিক কীভাবে কোন রাস্তা দিয়ে ঘোরানো হবে সেটাই এখন দেখার।
কবে নির্মাণ হয়েছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতু?
জ্যোতি বসু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের হাতে ১৯৯২ সালে এই সেতুটির উদ্বোধন হয়। নাম দেওয়া হয় বিদ্যাসাগর সেতু। উদ্বোধনের পর ৩১ বছর কেটে গেলেও সে ভাবে সেতু সংস্কারের কাজ আর হয়নি।সময়ের ব্যবধানে সেতুর রাস্তায় নতুন করে ম্যাস্টকের আস্তরণ দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ডিজাইন করেছিল জার্মান কারিগরি সংস্থা শ্লায়েশ বার্জারম্যান পার্টনার। তাই জার্মান বিশেষজ্ঞদের আনা হচ্ছে সেতুর মেরামতির জন্য। মোট ১২১টি কেবলের ফ্যান অ্যারেঞ্জমেন্টের উপর সেতুটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, এর মধ্যে কয়েকটি কেবলের অবস্থা ভালো নয়। কেবল মেরামতির জন্য জার্মানি থেকে সামগ্রী ইতিমধ্যে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মেরামতির জন্য খরচ হতে পারে ৫৫ কোটি টাকা।