আচমকাই হার্ট অ্যাটাক কলকাতার নামী স্কুলের পড়ুয়ার, প্রার্থনা চলাকালীন বুকে অসহ্য যন্ত্রণা, পরক্ষণেই জীবন শেষ ১৪ বছরের ছাত্রীর

স্কুলে প্রার্থনা চলছিল সে সময়। আচমকাই বুকে ব্যাথায় ছটপট করতে থাকে পড়ুয়া। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলভিউ নার্সিং হোমে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় দক্ষিণ কলকাতার নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ১৪ বছরের ওই ছাত্রীর। ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর, এমনটাই জানান চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে প্রার্থনা চলার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। জানায় তার বুকে ব্যথা হচ্ছে। দেরি না করেই বেলভিউতে নিয়ে যাওয়া হয় পড়ুয়াকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মৃত্যু হয় ছাত্রীর। হার্ট অ্যাটাকেই এই মৃত্যু বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
হার্ট অ্যাটাক এখন যে বয়স দেখে হয় না, তা গত কয়েক মাসে কিছু ঘটনায় বেশ ভালোভাবেই স্পষ্ট। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জিম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে অনেক তারকার। জিনগত ভাবে বা জন্মগতভাবেও হার্টের সমস্যা থাকতে পারে। আগাম রোগের কোনও লক্ষণ নেই অথচ আচমকাই হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটছে। কম বয়সিদের মধ্যেও হৃদরোগের সমস্যা বেশ দেখা দিচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, চুপিসারে শরীরে দানা বাঁধছে হার্টের সমস্যা। এরপর হঠাৎ একদিন বিস্ফোরণ। আর এক লহমায় সব শেষ। চিকিৎসাটুকু করানোর সময় দিচ্ছে না রগিকে। আগে মনে করা হত বয়স্কদেরই শুধু হার্টের সমস্যা থাকে। কিন্তু এখন বাস্তবের ছবিটা যেন উল্টে গিয়েছে।
যে কোনও বয়সে হার্টের যে কোনও অসুখ হতে পারে। বর্তমানে কমবয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে। কার্ডিওলজিস্টরা বলছেন, এ দেশের কমবয়সি ও কর্মব্যস্ত গোষ্ঠীর মধ্য়েই হার্ট অ্যাটাকের সংখ্য়া বেশি। হৃদরোগ এত দ্রুত ও এমনভাবে ছড়াচ্ছে যে বাঁচানোর সময়টুকু পাওয়া যাচ্ছে না।