দেশে বিদেশে

‘দেশের গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো উচিত’, ব্রাজিলে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা মোদীর, দিলেন প্রেসিডেন্ট লুলার পাশে থাকার বার্তাও

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের বাসস্থান ও একাধিক জায়গায় রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অনুগামীরা। সেদেশের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে গণতন্ত্রের উপর ফ্যাসিবাদী হামলা হয়েছে। এবার ব্রাজিলের এই হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনার নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট লুলার পাশে থাকার বার্তা দিলেন মোদী।

ব্রাজিলে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইটে লেখেন, “ব্রাজিলের গণতন্ত্রের প্রতীকস্বরূপ ভবনগুলিতে যেভাবে ভাঙচুর চালান হয়েছে, তা দেখে আমরা অত্যন্ত চিন্তিত। দেশের গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো উচিত সকলেরই। ব্রাজিল প্রশাসনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে”। বলে রাখি, বামপন্থী নেতা লুলার জয়ের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদী। এবার ব্রাজিলের এমন দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।

মার্কিন ক্যাপিটল হিলের আদলেই দেশের তিন গুরুত্বপূর্ণ ভবনে হামলা চালায় অতি দক্ষিণপন্থী বলসোনারোর সমর্থকরা। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় থাকাকালীন মোদীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল বলসোনারোর। কিন্তু অক্টোবর মাসের নির্বাচনে বামপন্থী লুলার কাছে হেরে যান তৎকালীন ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট।

আর এরপরই তিনি দাবী করেন যে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়ার দাবীও তোলেন বলসোনারো। তাঁর অনুগামীরা দেশের নানান প্রান্তে অশান্তি ছড়ান। তবে শত চেষ্টা করেও আটকানো যায়নি প্রেসিডেন্ট পদে লুলার শপথগ্রহণ।  যদিও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রথা ভঙ্গ করে অনুপস্থিত ছিলেন বলসোনারো।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক এক সপ্তাহ পরই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ও কংগ্রেস ভবনে হামলা করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের অনুগামীরা। হামলার একাধিক ভিডিও ফুটেজ মিলেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে এই তিন ভবনে ঢুকে কীভাবে ভাঙচুর চালাচ্ছে উন্মত্ত জনতা। নানান গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করা হচ্ছে বলেও দেখা গিয়েছে ভিডিওতে। ব্রাজিলের কংগ্রেস ভবনের সামনে নিরাপত্তার জন্য উন্মত্ত জনতাকে সরায় পুলিশ। অন্য দুটি জায়গায় কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয় পুলিশের তরফে।

Back to top button
%d bloggers like this: