জিন্স-টিশার্ট, টপ, লেগিংস নয়, পরতে হবে মার্জিত পোশাক, স্কুল শিক্ষিকাদের পোশাকবিধি নিয়ে কড়া নির্দেশিকা রাজ্যের

স্কুল শিক্ষিকা বলতেই সকলের চোখের সামনে ভেসে ওঠে শাড়ি পরা এক শ্রদ্ধেয় অবয়ব। অন্তত আমরা নিজেদের ছোটবেলায় শিক্ষিকাদের সেই রূপেই দেখেছি। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্টেছে অনেক কিছুই। সেই সঙ্গে স্কুল শিক্ষিকাদের পোশাকেও বদল এসেছে।
কিছু বছর আগে আরামদায়ক ও সুবিধাজনক পোশাক হিসেবে স্কুল শিক্ষিকাদের সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি-চুড়িদার পরার অনুমতির জন্য আবেদন জানানো হয়। বাংলা-সহ ভারতের একাধিক রাজ্যে সেই অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেই পোশাক বিধি নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। এবার সেই কারণে স্কুল শিক্ষিকাদের পোশাক বিধি নিয়ে জারি করা হল নতুন নির্দেশিকা।
এই নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুল শিক্ষিকাদের মার্জিত ও রুচিসম্মত পোশাক পরতে হবে। তারা জিন্স-টিশার্ট বা টপ, কুর্তি পরে স্কুলে আসতে পারবেন না। এই পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। এই নির্দেশ যদি অমান্য করা হয়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। গতকাল, শনিবার এমনটাই ঘোষণা করা হয় অসমের হিমন্ত শর্মার সরকারের তরফে।
শিক্ষা দফতরের কথায়, অনেক সময়ই দেখা যায় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাদের এমন পোশাক পরতে দেখা যায় যা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষিকারা সমাজের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রী, তাই তাদের পোশাকও মার্জিত ও রুচিসম্মত হওয়া উচিত বলে মনে করে শিক্ষা দফতর। পোশাক বিধির পাশাপাশি পোশাকের রঙ যাতে বেশি রঙচঙে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা জানানো হয়েছে শিক্ষিকাদের।
শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, এই নির্দেশ অমান্য করতে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। এই বিষয়ে অসমের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার স্কুল চালানোর পদ্ধতিতেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে এই শিক্ষিকাদের পোশাক বিধিও রয়েছে। তাঁর দাবী, স্কুল পড়ুয়াদের যদি নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম থাকে, তাহলে স্কুল শিক্ষিকাদেরও ড্রেস কোড থাকা উচিত।