বড় সুখবর! পেট্রোপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা, কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার

বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সাধারণ মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলেছে, তা হল পেট্রোলের দাম। এরই সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ডিজেলের দামও। এরই মধ্যে এল বড় সুখবর। জানা গিয়েছে, এক্সাইজ ডিউটি কমিয়ে পেট্রোলের দামে রাশ টানতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। তিন সরকারী আধিকারিক সূত্রে এমন খবরই মিলেছে।
কার্যত, গত দশ মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এর জেরে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে পেট্রোলের দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই দেশের বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম ধার্য করা হয়। খুচরো যে দামে সাধারণ মানুষ পেট্রোপণ্য কেনেন, এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই থাকে নানা প্রকারের কর।
আরও পড়ুন- বড় চমক রাজ্য রাজনীতিতে, মোদীর ব্রিগেডেই মিমি চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল!!!
জানা গিয়েছে, পেট্রোপণ্য ব্যবহারের দিক দিয়ে ভারত রয়েছে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে। করোনা পরিস্থিতিতে যখন দেশের অর্থনীতিতে ভাঁটা পড়ে, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই করের অঙ্ক দ্বিগুণ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই কারণে গত এক বছরে পেট্রোলের দাম সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক দেশের কিছু রাজ্য, তেল বিপণনকারী সংস্থা, এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে যাতে করের বোঝা লাঘব করা যায়। এর জেরে খানিকটা আশার আলো দেখতে পারে সাধারণ মানুষ। মার্চের মাঝামাঝি এই ছবি একেবারে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- চমকে ভরা বিজেপির ব্রিগেড, ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন শতাব্দী রায়!!!
কিছুদিন আগেই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, “জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলছে কেন্দ্র। কবে সেটা কমবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না”। বলে রাখি, দিনকয়েক আগেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পেট্রোপণ্যকে জিএসটির অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এর জেরে রাজ্য থেকে রাজ্যের আলাদা বাড়তি করের বোঝা চেপে এর দামে তফাৎ না করা যাবে। তবে এই প্রক্রিয়া এবার কবে থেকে লাগু হয় আর কবেই বা সাধারণ মানুষের মাথা থেকে পেট্রোলের এই বাড়তি দামের বোঝা নামে, এখন সেটাই দেখার।