দেশ

আরও বড় বিপাকে ঘাসফুল শিবির, সাসপেন্ড করা হল তৃণমূলের ৭ জন সাংসদকে

তৃণমূলের (TMC) উপর কম ঝড়ঝাপটা যাচ্ছে না। এবার ফের একবার আরও বিপাকে পড়ল বাংলার শাসক শিবির। বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) চলাকালীন আজ, মঙ্গলবার সংসদ চত্বরে মূল্যবৃদ্ধি, টাকার দামের পতন নিয়ে বিক্ষোভ দেখার রাজ্যসভার সাংসদরা। সংসদে (Parliament) এমন হই হট্টগোল ও নিয়ম লঙ্ঘন করার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের ৭ সাংসদকে (MP)। এই সাতজন নিয়ে মোট ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড (suspend) করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন দোলা সেন, শান্তনু সেন, মৌসম নূর, শান্তা ছেত্রী, নাদিমূল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেবরা। এছাড়া ডিএমক ও বাম সাংসদও রয়েছেন। তাঁরা সংসদের উচ্চকক্ষে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওয়ালে নেমে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।

বিরোধী সাংসদদের এহেন আচরণকে নিয়ম বিরুদ্ধ তকমা দিয়ে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোট ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূলের ৭ জন সাংসদ ছাড়াও রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ – ডি এল যাদব, এম এম আবদুল্লা ও রাম। একাধিক বাম সাংসদও রয়েছেন বলে খবর। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা চলতি সপ্তাহে বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না বলে নির্দেশ।

এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে মোদী সরকারকে তোপ দেগেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। টুইট করে লেখা হয়েছে, “আমাদের সাসপেন্ড করতে পারেন। কিন্তু চুপ করাতে পারবেন না। সাংসদরা মানুষের সমস্যা তুলে ধরলেই সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন চলবে? এভাবে সংসদের পবিত্রতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে”।

বলে রাখি, বাদল অধিবেশনের আগেই ফতোয়া জারি করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে সংসদ চত্বরে কোনও ধরনা বা বিক্ষোভ কর্মসূচি করা যাবে না। কিন্তু সেকথা মানা হয়নি বিরোধীদের তরফে। সংসদ অধিবেশনের শুরুর দিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের উপর জিএসটি বসানো নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরাও।

Back to top button
%d bloggers like this: