বিস্ফোরণ করিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে রাম মন্দির, হুমকির ফোনের জেরে তটস্থ অযোধ্যা, আরও আঁটসাঁট করা হল নিরাপত্তা

গতকাল, বৃহস্পতিবারই নেপাল থেকে ৬ লক্ষ বছরের পুরনো শালগ্রাম শিলা এসেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তি গড়ার জন্য। শুরু হয়ে গিয়েছে মূর্তি নির্মাণের কাজ। আর এদিনই আবার এই নির্মীয়মাণ রাম মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফোন এল মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে।
গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে আসে এই হুমকি ফোন। আর এই ফোনের জেরে গোটা অযোধ্যা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গোটা অযোধ্যাতেই তড়িঘড়ি নিরাপত্তা আরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। উত্তর প্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি ফোন করে মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। কে সেই ব্যক্তি বা ফোনটা কোথা থেকে এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই নিয়ে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তিতেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে নতুন রামলালার মূর্তি স্থাপন করার লক্ষ্য নিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। সেই অনুযায়ীই কাজ এগোচ্ছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া একটা বড় তুরুপের তাস হতে চলেছে বিজেপির কাছে।
সেই লক্ষ্যেই কাজ এগোচ্ছে রাম মন্দিরে। কিন্তু সেই পথে আচমকাই ঘটল আতঙ্কের বেড়াজাল। উড়ো ফোন করে কেউ নির্মীয়মাণ মন্দিরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিল। এর জেরে এলাকায় নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।
সনাতনী নিয়ম অনুযায়ী, মকর সংক্রান্তিতে মূর্তি স্থাপনের রীতি রয়েছে। কারণ সেই সময় সূর্য দক্ষিণ থেকে উত্তর গোলার্ধে ভ্রমণ করে। রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানান যে মকর সংক্রান্তিই হল রাম মূর্তি স্থাপনের জন্য সবথেকে শুভদিন। গতকাল, বৃহস্পতিবার থেকেই সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও বাধ সাধল এই হুমকির ফোন।
সূত্রের খবর, রামকোটের বাসিন্দা মনোজের কাছে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে হুমকি দেওয়া হয় যে বিস্ফোরণ করিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে রাম মন্দির। এরপরই কেটে দেওয়া হয় ফোনটি। পুলিশকে সব জানান মনোজ। এমন হুমকি ফোনের খবর পেয়ে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অযোধ্যার পুরোহিত ও কর্মীরা। স্থানীয় পুলিশ আশ্বস্ত করেছে তাদের। রাম মন্দির সহ গোটা অযোধ্যাতেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।