পেন্টাগন এখন অতীত! বিশ্বের সবথেকে বড় অফিস এখন ভারতেই, আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিল গুজরাতের সুরাত ডায়মন্ড বুর্স

বিশ্বের সবথেকে বড় অফিসের নাম উঠলেই সকলে একবাক্যে জানান পেন্টাগনের নামই। এতদিন পর্যন্ত সেই সেরার মুকুট আমেরিকার মাথাতেই ছিল। তবে এবার মার্কিন মুলুককে পিছনে ফেলে সেরা হল ভারত। পেন্টাগনকে হারিয়ে বিশ্বের সবথেকে বড় অফিস এবার গড়ে উঠল ভারতের গুজরাতে।
গুজরাতের সুরাতে গড়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস। যার নাম সুরাত ডায়মন্ড বুর্স। হিরে তৈরির যাবতীয় কাজ এই অফিসে হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুরাতের এই অফিসটি ১৫ তলা। ৩৫ একর এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে এই অফিস যা পেন্টাগনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।
এই সুরাতেই বিশ্বের ৯০ শতাংশ হিরে কাটা হয়। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অফিস। হিরে কাটা, পালিশ করা থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক লেনদেন, সবই এবার হবে এক ছাদের তলায়। এত দিন হিরের ব্যবসার জন্য অনেকেই সুরাত থেকে মুম্বই যাতায়াত করতে হত। তবে এবার সুরাত ডায়মন্ড বুর্সে এক ছাদের নীচে সব বন্দোবস্ত হওয়ায় সেই সমস্যা আর হবে না।
কতটা জায়গা নিয়ে তৈরি এই অফিস?
সূত্রের খবর, সুরাত ডায়মন্ড বুর্স একটি ১৫ তলা অফিস ভবন। ৩৫ একর এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে এই অফিস। এটি আকারে এটি পেন্টাগনের চেয়েও বড়। সুরাত ডায়মন্ড বুর্সের নির্মাতারা জানিয়েছেন, এই অফিসে মোট ৬,৬০০০০ বর্গমিটার কাজের জায়গা (ফ্লোর এরিয়া) রয়েছে। অন্যদিকে, পেন্টাগনে কাজের জায়গা ৬,২০০০০ বর্গমিটার। এই অফিসে একসঙ্গে ৬৫,০০০ মানুষ কাজ করতে পারবেন।
কবে উদ্বোধন হবে এই অফিসের?
গুজরাতের মুকুটে নতুন পালক যোগ করবে ২৬৮ মিটার উঁচু এই সুরাত ডায়মন্ড বুর্স। চলতি বছরেই উদ্বোধন হবে এই অফিসের। সুরাত ডায়মন্ড বুর্সের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, সুরাতে হিরের ব্যবসা কেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তার উদাহরণ এই বিশাল অফিস ভবন। চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই এই অফিসের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এক বিখ্যাত স্থাপত্যনির্মাণ সংস্থা অফিস ভবনটি তৈরি করেছে। অফিস ভবনটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩,২০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের সিইও মহেশ গাধভি জানিয়েছেন, সুরাত ডায়মন্ড বুর্স গুজরাতের হিরের বাজারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কী কী সুবিধা রয়েছে এই অফিসে?
১৫ তলার এই বহুতলে কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য মোট ১৩১টি লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। অফিসটি ঠান্ডা রাখার জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে বায়ু চলাচলের বন্দোবস্ত। সৌরশক্তিও ব্যবহার করা হয়েছে অফিসে। পরিবেশ রক্ষার যাবতীয় নিয়ম মেনেই এই বহুতলটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।