রাজ্য

এক বছরের মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরেই আত্মঘাতী ১১২ জন কৃষক, রাজ্যের তথ্যের সঙ্গে কোনও মিল নেই RTI-এর তথ্যের, চাপের মুখে মমতা

গত এক বছরে রাজ্যের শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরেই আত্মহত্যা করেছেন ১১২ জন কৃষক। সামনে এল এক বিস্ফোরক তথ্য। RTI-এর এই তথ্য সামনে আসার পরই বেশ শোরগোল তৈরি হয়েছে। কারণ ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো অর্থাৎ এনসিআরবি ও রাজ্য সরকারের দেওয়ার রিপোর্ট বলছে যে আত্মহত্যা করে কৃষক মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য।

জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথ গোস্বামী নামের এক ব্যক্তি RTI করে পশ্চিম মেদিনীপরে কৃষক মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলেন। জেলা পুলিশের তরফে তাঁকে সেই তথ্য দেওয়া হয়। সেখানে ২৩টি পুলিশ স্টেশন থেকে নানান তথ্য নিয়ে সেই তথ্য দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে যে ২০২১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে আত্মহত্যা করে মৃত্যু হয়েছে ১১২ জন কৃষকের। আর ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত সে জেলায় আত্মঘাতী কৃষকের সংখ্যা ৩৪।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে গোয়ালতোড়ে ১৪, কেশপুরে ৮, আনন্দপুরে ১০, কেশিয়ারি ৫, মোহনপুর ৭, দাঁতন ৭, পিংলা ৮, ঘাটাল ৬৩ কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন। সবমিলিয়ে পরিসংখ্যানটা ১২২। এদিকে ২০২২ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে কৃষক আত্মহত্যার যে পরিসংখ্যান মিলেছে পুলিশের তরফে, সেই অনুযায়ী গোয়ালতোড় ৫, কেশপুর ৫, আনন্দপুর ২, দাঁতন ৭, পিংলা ২, ঘাটাল ১৩ অর্থাৎ মোট ৩৪ জন কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন।

আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে আরটিআইয়ের এই তথ্যের সঙ্গে এনসিআরবি-র দেওয়া তথ্যের কোনও মিল নেই। ২০২১ সালে এনসিআরবি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে কোনও কৃষকের মৃত্যু আত্মহত্যার কারণে হয়নি।

এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর কৃষক সভার জেলা সম্পাদক জানান, “আমাদের জেলায় কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঋণের বোঝায় মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল তাঁদের উপর। তবে সেই পরিসংখ্যানটা এতটাও নয়”।

তিনি আরও জানানন “আমরা চাই কৃষকরা ফসলের সঠিক দাম পাক। যে কৃষকরা আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হোক”। যদিও এই বিষয় নিয়ে পুলিশ সুপার কোনও কথা বলতে রাজি হন নি। আবার অন্য এক পুলিশ কর্তার কথায়, আরটিআই-য়ের তথ্য ভুল।

Back to top button
%d bloggers like this: