উত্তরপত্রে নম্বর শূন্য অথচ কমিশনের তালিকায় নম্বর ৫৩, ‘ভূতের কাজ তো নয়’, ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, ফের বেনিয়মের অভিযোগ এসএসসি-তে

নবম-দশম শ্রেণীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ৪০ জনের বেনিয়মে নিয়োগের ঘটনা সামনে এল। এর আগে ১৮৩ জন বেআইনি নিয়োগের খোঁজ মিলেছিল। আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে এই ৪০ জনের নাম ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এমনটাই নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিচারপতি বলেন, “এটা কোনও ভূতের কাজ নয়, কমিশনের অফিসে যাঁরা কাজ করেন তাঁরাই করেছে”।
৪০ বেআইনি নিয়োগের কারচুপির সত্যতা যাচাই করতে গত শুক্রবারই বসে বৈঠক। কমিশনের অফিসে বৈঠকের পর একটা চার্ট তৈরি হয়। সেটা দুপুর দুটোয় মামলাকারীদের জমা দিতে হবে। আগামীকাল, বুধবার সিবিআই তালিকা জমা দেবে। এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, “আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়ে গিয়েছে”।
এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “ওএমআর শিট নিয়ে এত প্রশ্নের পর কীভাবে নষ্ট করা হল”? কমিশনের তরফে জানানো হয় যে ২০১৮-২০১৯-এর মধ্যে উত্তরপত্র নষ্ট হয়েছে। এর ফলে নবম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কী না, তা জানতে গাজিয়াবাদ হার্ড ডিস্ক ও সল্টলেক হার্ড ডিস্ক মিলিয়ে দেখতে হবে।
এদিন আদালত জানায় যে গাজিয়াবাদ হার্ড ডিস্কে দশজন শূন্য পেয়েছে পরীক্ষায়। অথচ কমিশনের তালিকায় তাদের নম্বর ৫৩। আবার এমনও দেখা গিয়েছে যে গাজিয়াবাদের সার্ভারে বাকিরা ১-২ নম্বর করে পেলেও কমিশনের সার্ভারে তা হয়ে গিয়েছে ৫১-৫৩। ওয়েটিং লিস্টে থাকা ২০ জন চাকরিপ্রার্থীর নম্বর ৯ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৯।
এসব দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “আমার পর্যবেক্ষণ এটা কোনও ভূতের কাজ নয়। এটা দেখে স্পষ্ট এই দুর্নীতি নিশ্চিতভাবেই যারা কমিশনের সঙ্গে যুক্ত তারাই করেছে”।
বিচারপতি এদিন কমিশনকে নির্দেশ দেন যে এই ৪০ জনের নাম কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। তাদের রোল নম্বর ও উত্তরপত্রের কপিও আপলোড করবে কমিশন। আজ, মঙ্গলবারই সমস্ত নথি আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।