রাজ্য

আরও বড় দুর্নীতির জাল! শুধুমাত্র অনুব্রত একাই নন, একাধিকবার লটারি জিতেছেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আরও ১২ প্রভাবশালী, জানাল ইডি

গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের লটারি জেতার বিষয়টি উঠে আসে। এমনকি, গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও লটারিতে বিপুল পরিমাণ টাকা জিতেছেন বলে জানা গিয়েছিল। এবার ইডির তদন্তে জানা গেল যে রাজনীতির সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন আরও ১২ জন প্রভাবশালীর নাম জানা গিয়েছে যারা একাধিকবার একটি বিশেষ লটারি কোম্পানির থেকে লটারি জিতেছেন। এও জানা গিয়েছে, এই ১২ প্রভাবশালীর সকলের বিরুদ্ধেই বালি, কয়লা বা গরু পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

একটি বিশেষ লটারি কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ইডির দাবী করা এই ১২ জন প্রভাবশালীর ক্ষেত্রে জেতা টাকার অঙ্ক ১ কোটির কম হওয়ায় তাঁদের নাম এবং ছবি দিয়ে কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়নি।

এই কারণেই তাঁদের লটারি জেতার কথা প্রকাশ পায়নি। একাধিক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর একটি বিশেষ কোম্পানির লটারি জেতা যে কাকতালীয় নয়, তা ক্রমশই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল তদন্তকারীদের কাছে।

তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে যে এই লটারি বিজেতারা শুধুমাত্র বীরভূমরেই নন, গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে রয়েছেন। এদের অনেকেই অন্যের জেতা টিকিট জোগাড় করে নিজের আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়েছেন আর বদলে আসল লটারি প্রাপকদের কালো টাকা দেওয়া হয়েছে। আর লটারিতে জেতা সাদা টাকা পৌঁছে গিয়েছে প্রভাবশালীর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর সেখান থেকে ট্রান্সফার হয়েছে প্রভাবশালীর অ্যাকাউন্টে। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছে কালো টাকা সাদা করার কৌশল।

এই ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্তকারীরা লটারি কোম্পানির এক কর্মীকে তলব করেন দিল্লিতে। সেই কর্মী জানান যে ওই কোম্পানির পূর্বাঞ্চলের আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের বেশ কিছু প্রভাবশালীর ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। এভাবেই কেউ যদি লটারি জিতত, তাহলে তাদের থেকে জোর করে লটারির টিকিট নিয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে।

এই লটারি দুর্নীতি নিয়ে বেশ কোমর বেঁধেই তদন্তে নেমে পড়েছেন ইডির আধিকারিকরা। এরপর এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কার কার নাম জড়িয়ে পড়ে, এখন সেটাই দেখার।

Back to top button
%d