‘সাফ হয়ে যাওয়ার আতঙ্কে খু’ন করছে তৃণমূল’, খড়গ্রামে নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা অধীরের, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পুলিশের উপরেও

গতকাল, শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথমদিনই খু’ন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদের কান্দির খড়গ্রামে ওই নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখান থেকে তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, “সুষ্ঠু ভোট হলে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে। সেই আতঙ্কেই কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা আক্রমণ শুরু করেছে তারা”। বহরমপুরের সাংসদ আরও বলেন, “খড়গ্রামে একজনকে শুধু হত্যা করা হয়েছে তা নয়। একজন ৫৫ বছর বয়সি মহিলাকেও ছাড়া হয়নি। তাঁর উপরেও নির্মম আক্রমণ শানানো হয়েছে”
এদিন অধীর যখন খড়গ্রামে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে শানাচ্ছেন, সেই সময় ডোমকলে সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “আমরা শুনেছি। বাম-কংগ্রেস এক হয়ে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আক্রমণ হলে পাল্টা হবে। তাতে যা ঘটনা ঘটবে তার জন্য দায়ী থাকবে পুলিশ আর পুলিশমন্ত্রী”।
দলীয় কর্মীর খু’নের ঘটনায় পুলিশকেও একহাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, “এখানে পুলিশ নিহতের পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ করছে যেন তাঁরাই খুনি। আর যারা খুন করেছে তাদের পুলিশ বলে দিচ্ছে তোমরা মাঠে লুকিয়ে থাকো। গ্রামে ঢুকো না। সময়ে সময়ে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে”।
প্রসঙ্গত, গতকাল, শুক্রবার রাতেই আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম এলাকা। ফুলচাঁদ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে কু’পিয়ে গুলি করে খু’নের অভিযোগ ওঠে। এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিকালে বাকি অনেকের সঙ্গে বসে তাস খেলছিলেন ফুলচাঁদ। আচমকাই তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা বাঁশ লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় তাঁর উপর। এলোপাথাড়ি মারধর শুরু হয়। ফুলচাঁদ পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই গুলি এসে লাগে ফুলচাঁদের শরীরে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় আহত রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।