এবার মমতার থেকে মুখ ফেরাতে পারেন বাঁকুড়ার বিদায়ী বিধায়ক! বিজেপি যোগের সম্ভাবনা

শাসকদলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় তৃণমূলের অন্দরে। আরাবুল ইসলাম থেকে সোনালী গুহ একাধিক তৃণমূল নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বহু যোগ দেন বিজেপিতে। আর এবার সেই তালিকায় হয়ত নাম জুড়তে চলেছে বাঁকুড়ার বিদায়ী বিধায়কেরও। অবশ্য দল বলছে জিতবেন না জেনেই প্রার্থী করা হয়নি।
আরও পড়ুন-কে কোন জায়গায় দাঁড়াচ্ছেন? একঝলকে দেখে নিন বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আসন্ন বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি ৬৪ বিধায়কের। সোনালী গুহ, জটু লাহিড়ি, বাচ্চু হাঁসদা, দীপেন্দু বিশ্বাসের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছেন শম্পা দরিপাও।
দলের আর কোনও কাজেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। বাঁকুড়ার বিদায়ী বিধায়ক শম্পা দরিপা বলেছেন, ‘গত একমাস ধরে এলাকায় ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালাচ্ছিলাম। কয়েক জায়গায় প্রচারে সঙ্গী ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারপরও আমি বাদ! এখনও পর্যন্ত জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কেউ যোগাযোগ পর্যন্ত করেননি।’
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রাম নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী!
তবে কি এবার সোনালীর পথ ধরে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেবেন? নাকি সঙ্গ দেবেন নিজের পুরনো দল তৃণমূলের? শম্পা দরিপা জানিয়েছেন, ‘কেউ তো প্রচারের জন্য বলেনি। এমনকি প্রার্থী নিজেও যোগাযোগ করেননি। দলবদলের বিষয়ে এখনও ভাবিনি। তবে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারি।’
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী রাধারানি বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপির হয়ে লড়াইয়ে নীলাদ্রি দানা। ১লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বাঁকুড়ায় ভোটগ্রহণ l
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬-র ভোটে বাঁকুড়া থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন শম্পা। ভোটে জেতার কয়েকমাসের মধ্যেই দলবদল করে ফেলেন তিনি। দলবদলু তকমা পাওয়া শম্পাকে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী। পাল্টা জবাব দিয়েছে ঘাস-ফুল শিবিরও।
বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রি দানা বলেছেন, ‘শম্পা দরিপা আমার প্রতিবেশী। উনি বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে মানুষকে অপমান করেছেন। এখন টিকিট না পেয়ে অভিমান হলে কিছু বলার নেই।’
এই বিষয়ে বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র দিলীপ অগ্রবাল বলেছেন, ‘শম্পা প্রার্থীপদের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দল মনে করেছে শম্পাকে প্রার্থী করলে জেতা সম্ভব নয়। তাই প্রার্থী করা হয়নি। ওঁকে কীভাবে প্রচারে ব্যবহার করা হবে, সেটা রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব ঠিক করবে।’