বাবার ভাঙাচোরা গ্যারেজে কাজ করে দর্শনে স্নাতক, হাসিমুখে অসম্ভবকে সম্ভব করছেন বোলপুরের মেয়ে নুরেসা

অভাব অনটনের সংসার। বাড়িতে মা-বাবা ও তিন বোন। রোজগার বলতে বাড়ির সমানে বাবার ভাঙাচোরা গ্যারেজ। তৃতীয় শ্রেণী থেকে বাবার সঙ্গে কাজ করা শুরু। আজ সে দর্শন বিষয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক হচ্ছেন। একমুখ হাসি নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করছেন বোলপুরের ধন্যি মেয়ে নুরেসা খাতুন।
বোলপুর থেকে নানুর যাওয়ার রাস্তায় লায়েকবাজারে সাইকেল, বাইক সারানোর গ্যারেজ বাবা শেখ বাবু’র। ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে বসে দেখতেন সারায়ের কাজ। আজ তিনি দক্ষ মেকানিক। পড়াশোনার ফাঁকে যেটুকু সময় বাঁচে, গ্যারেজে সাইকেল মেরামতের কাজ করে নুরেসা। শুধু তাই নয়, তাঁর ইচ্ছা আগামীতে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
নুরেসা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে কাজ করতাম, তখন থেকেই বাবার কাছে একটু একটু করে কাজ শিখেছি। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই শিখছি। আজ যে কোনও সাইকেল ঠিক করে দিতে পারবো।’
বাবা শেখ বাবু বলছেন, ‘মেয়ে বুদ্ধির জোড়েই কাজ শিখেছে। এখন ও নিজেই বাইকের পাম্পচার সরিয়ে দিতে পারে।’ পরিবারের গর্ব নুরেসা। এই ধন্যি মেয়ে ভবিষ্যতে আরও বড়ো হোক বলছেন সকলে।