রাজ্য

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে আদালতের অনুমতি লাগবে না, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট, বড় বিপাকে বিরোধী দলনেতা

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। আজ, বৃহস্পতিবার এমনটাই এবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়। এহেন নির্দেশের জেরে বিরোধী দলনেতা যে বেশ অস্বস্তিতে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য।

কী অভিযোগ করা হয়েছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে?

পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি ছড়ানো ও রাজনৈতিক হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গতকাল, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারী আইনজীবী সুমন সিংয়ের অভিযোগ, ভোটের আগে বেশ কিছু দলীয় সভায় বিজেপি কর্মীদের কখনও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে জলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু। আবার কখনও তিনি রাজ্যে এমন অশান্তি করতে বলেন যাতে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করা যায়।

সুমন সিংহ নামের ওই আইনজীবী এও জানান, হাইকোর্টের রক্ষাকবচ থাকার কারণে পুলিশ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে বলেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ নেবে কী নেবে না সেটা ঠিক করার জন্য কখনওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হতে পারে না।

এই মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন না শুভেন্দু

এই মামলায় বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যদি এফআইআর করতে হয়, তাহলে আদালতের অনুমতির দরকার নেই। তবে অবশ্যই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। বিরোধী দলনেতাকে যেন শুধুমাত্র হেনস্থা করার জন্য অভিযোগ না দায়ের করা হয়।

আদালতের নির্দেশ, পুলিশকে সচেতনভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখে পুলিশ রিপোর্ট তৈরি করে তা ডিজিকে পাঠাবে। আদালতকে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে ডিজিকে। আদালত অনুমতি দিলে গ্রেফতার করা যাবে শুভেন্দু অধিকারীকে, এমনটাই নির্দেশ দেন বিচারপতি।

বলে রাখি, এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই সময় শুভেন্দু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা তাঁকে রক্ষাকচব দিয়ে জানিয়েছিলেন যে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এমনকি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি।

Back to top button
%d bloggers like this: